- তিন বেলার খাবার খেতে হবে সময়মতো। অল্প অল্প করে খাবেন তবে পেটে খিদে রাখবেন না। আবার গলা অব্দি খেয়ে ফেলবেন না।
- পর্যাপ্ত শাকসবজি,বাদামি চাল,ওটস,ফলমূল এবং ডাল বেশি করে খান।
- প্রতিদিন অন্তত ৪০-৫0 মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম যেমন সাইকেল চালানো,সাঁতার কাটা,যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ও চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ শাকসবজি ও ফলমূল খান।
- ফাস্ট ফুড, কোমল পানীয় পরিহার করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করুন।
- বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে,বিয়ে বাড়ি,দাওয়াত ইত্যাদিতে পরিবেশিত মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বর্জনীয়।
- একটানা অধিক সময় বসে কাজ করবেন না। কম্পিউটার ব্যবহার ও কাজের ফাঁকে উঠে দাঁড়ান। একটু হাঁটাহাঁটি করুন ও মোবাইলে গেম খেলা কমিয়ে দিন। টিভি দেখতে দেখতে চিপস খাবেন না। বেশি ক্ষুধার্ত হলে শসা খান।
- শরীরের ওজন সঠিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও শরীরচর্চা নিয়মিত বজায় রাখুন, ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- পানি শরীরের মেটাবলিজম কার্যকর করে তোলে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে,তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত।
- নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে শরীরের শর্করার মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- নিয়মিত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তার নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করুন।
- মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকে বাধা দিতে পারে,তাই মানুসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন,যোগ ব্যায়াম বা আপনার পছন্দের কাজ করুন।
- ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্ন বিশেষভাবে নেওয়া উচিত। প্রতিদিন পা ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে রাখুন। ছোটখাটো কাটা বা ফোসকা হলে গুরুত্ব দিন।
- ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান থেকে বিরত থাকুন, কারণ এগুলো ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সুষম খাবার গ্রহণ করুন। বাইরের ফুটপাতে তৈরিকৃত খাবার খাবেন না।
- নানান রকম ফল, সবজি, শস্য, চর্বিহীন মাংস ও স্বাস্থ্যকর চর্বি খাওয়া জরুরি। সেই সাথে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় ও উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা উপকারী।
- শরীরের সঠিক আর্দ্রতা মেইনটেইন সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে দেহের পানিশূন্যতা কমায়, কিডনি সক্রিয় রাখে। আর রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- দিনে কমপক্ষে আট কাপ পানি পান করা দেহের প্রয়োজন মেটাতে ও সক্রিয় রাখতে পারে।
সর্বশেষ
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
চুল পাকার কারণ ও প্রতিকারের উপায়।
চুল পাকার কারনঃ
- চুল পাকার সঙ্গে বংশগত সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য বংশগত কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে চুলো অন্যদের তুলনায় আগে পাকা শুরু করে।
- থাইরয়েডের সমস্যা, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাজনিত রোগ, শ্বেতি, আ্যলার্জি, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, রক্ত শূন্যতা, প্রোজেরিয়া ও প্যানজেরিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে কম বয়সে চুল পাকতে শুরু করে।
- কিছু ওষুধ যেমন: ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতে ব্যবহার করা ওষুধ, ম্যালেরিয়ার ওষুধ ইত্যাদির কারণে সাময়িকভাবে চুল পেকে যায়।
- অতিরিক্ত চিন্তা চুলের বৃদ্ধি ও গঠন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এ ছাড়া, অতিরিক্ত মদ্যপান ও ধূমপানও অকালে চুল পাকার কারণ হতে পারে।
- মানসিক অশান্তি, মানসিক চাপ, মনে কষ্ট, দুশ্চিন্তা, খারাপ চিন্তা ইত্যাদি থেকে অকালে চুল পাকতে পারে। তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সেরেটনিন হরমোন অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। মানসিক অবসাদ রক্তে সেরটনিন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেই। যার ফলে চুল অকালে পেকে যায়।
- ভিটামিনের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফোলেট, ভিটামিন বি–১২, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডির অভাবে অকালে চুল পেকে যায়। ভিটামিন সি–জাতীয় খাবারের মধ্যে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বক, চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। অপুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেলের অভাবে অনেকের চুল অকালে পেকে যায়।
- অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলে, চুল অতিমাত্রায় ডাই ও রং ব্যবহার করলেও চুল অকালে পাকতে পারে। সব প্রসাধনী সব বয়সের মানুষের জন্য উপযোগী নয়।
- ভেজাল খাবার, পরিবেশদূষণের জন্যও চুল পাকতে পারে।
- অতিরিক্ত ফাস্ট-ফুড খাওয়া, উচ্চমাত্রার প্রোটিন গ্রহণ, অতিমাত্রায় কোমল পানীয় ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এবং বয়স অনুযায়ী অতিরিক্ত ওজন বেশি থাকলেও চুল অকালে পাকতে পারে।
- কিছু অটোইমিউন ডিজিজে চুল সাদা হয়ে যায়। এ ধরনের রোগের মধ্যে ভিটিলিগো অন্যতম।
- কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপিসহ কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় চুল পেকে যায়।ফ্রি রেডিকেল’ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভারসাম্যহীনতার কারণে অক্সিডেটিভ চাপ বাড়ে। বাহ্যিক বিষয় যেমন- দূষণ, অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণ ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য অক্সিডেটিভ চাপ বাড়ায়।
- কৈশোর অবস্থায়, গর্ভাবস্থা ও মেনো-পোজের সময় হরমোনের পরিবর্তন ফলে চুলের রংয়ের ওপর প্রভাব রাখে। হরমোণের ওঠানামা যেমন- ‘মেলানোসাইট স্টিমুলেটিং হরমোন’ ও কর্টিসোল চুল সাদা করার জন্য দায়ী।
- দীর্ঘদিন মানসিক চাপ দেহের নানান কার্যক্রিয়া এমনকি চুলের রংয়েও পরিবর্তন আনে। দীর্ঘমেয়াদী বা উচ্চমাত্রার মানসিক চাপ ‘মেলানোসাইটিস’ বা মেলানিন উৎপাদনে ক্ষয় বৃদ্ধি করে যা চুল সাদা করার জন্য দায়ী।
- নানান রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকির সাথে জড়িত ধূমপান। আর এটা অকালে চুল পাকার জন্যও দায়ী। এতে থাকা ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করে, মেলানিন উৎপাদনের ওপরে প্রভাব রাখে।এটা এক ধরনের ত্বকের জটিলতা যা রঞ্জক কোষকে আক্রান্ত করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এটা চুলের রংয়ের ওপরেও প্রভাব রাখে। কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে অনেক সময় চুল সাদা হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যেমন- ব্লিচ বা রঙিন উপাদান চুলের ক্ষতিসাধন করে আর মেলানোসাইটিসের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। নিয়মিত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার চুল সাদা করে ফেলে ও প্রাকৃতিক ‘পিগমেন্টেইশন’ বা রং নষ্ট করে দেয়।
- বায়ু দূষণের মতো প্রাকৃতিক দূষণ চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে।
চুল পাকা প্রতিকারের উপায়ঃ
- মৌসুমি ফল, শাকসবজি প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সবুজ–হলুদ ফলের মধ্যে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে অতি উচ্চ-মাত্রায়, যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ইতিবাচক চিন্তা, সৃজনশীল কাজ, ভালো বন্ধুত্ব, শখের কাজ মানসিক প্রশান্তি জোগায়, মন ভালো রাখে ও চাপ কমায়।
- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সঠিক ওজন বজায় রাখুন।
- নিয়মিত ভালোভাবে চুল আঁচড়াতে হবে। তাহলে চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ হবে।
- সময় পেলেই হাঁটতে হবে। এতে শরীরের সব অঙ্গে রক্ত সরবরাহ হয়।
- স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করার অভ্যাস গড়ুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চুলে কলপ, রাসায়নিক ব্যবহার করা অনুচিত। মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী, মানহীন বিউটি পারলার থেকে সেবা গ্রহণ না করাই ভালো।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রূপচর্চার জন্য কোনো ওষুধ সেবন করবেন না।
- ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়তে হবে। যা দেহের পাশাপাশি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে টাটকা ফল, সবজি, চর্বিহীন মাংস ও পূর্ণ শষ্য।
- মানসিক চাপ কমাতে নানান কিছু চর্চা করা যেতে পারে। যেমন- ধ্যান, ইয়োগা বা গভীর নিঃশ্বাসের ব্যায়াম।
- চুলে কড়া রাসায়নিক ব্যবহার পরিহার করতে হবে। যেমন- ব্লিচিং এবং অতিরিক্ত রং করা।
- মাথার ত্বক নিয়মিত মালিশ করতে হবে। এতে মাথায় রক্ত চলাচল বাড়বে, চুলের গোড়া সুস্থ থাকবে। ফলে বজায় থাকবে প্রাকৃতিক রং।
- সূর্যের অতি-বেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে মাথায় টুপি বা স্কার্ফ পরা উচিত।
- শুষ্কতা এড়াতে ও চুল আর্দ্র রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
- যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- আমলকীতে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। নিয়মিত আমলকী খেলে চুল পাকা বন্ধ হতে পারে। এ ছাড়া মাথায় আমলকীর পেস্ট ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে উপকার মেলে।
- চুল পাকলে মেহেদির ব্যবহার করতে পারেন। এটি চুলের প্রাকৃতিক রং এনে দিতে পারে। মেহেদির সঙ্গে কফি পাউডার, একটু দই অথবা লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় লাগিয়ে দুই-দিন ঘণ্টা রাখলে উপকার পাবেন। পরে পানি ও শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলতে হয়।
- বাদামের তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে লাগাতে হবে। এতে চুল পাকার হার কমবে।
- কম বয়সে চুল পাকা ঠেকাতে ব্ল্যাক টি দারুণ কার্যকর। চায়ের পাতা সেদ্ধ করে তা ঠান্ডা করুন। তারপর তা মাথায় রাখুন ঘণ্টাখানেক। পরে শ্যাম্পু ছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
- ঈষৎ উষ্ণ সরিষা বা নারকেল তেল নিয়মিত মাথায় ম্যাসাজ করলে চুল পাকা কমতে পারে।
- স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ স্বাস্থ্য সমস্যার পাশাপাশি চুল পাকার কারণ হতে পারে।
- ফাস্ট ফুড খেলে চুল পরতে পারে ও চুল সাদা হয়ে যেতে পারে। যতটা সম্ভব এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।
সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫
মাথা ব্যথা থেকে মুক্তির সহজ দোয়া।
মাথা ব্যথা নাই পৃথিবীর এমন একটা মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। মাথা ব্যথা সাধারণ সমস্যা হলেও, অনেকের জন্য এটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে, যেমন – অতি মানসিক চাপ, শারীরিক অস্বস্তি, সঠিক পুষ্টির অভাব, তীব্র গরম অথবা দুশ্চিন্তা ইত্যাদি। তবে মাথা ব্যথা শুধু শারীরিক সমস্যা নয়, এটি কখনো কখনো মানসিক সমস্যারও সৃষ্টি করতে পারে।
তবে আজকে আপনাদেরকে মাথা ব্যথার জন্য বিশেষ কিছু দোয়া শিখিয়ে দিব, যা নিয়মিত পড়লে আল্লাহর রহমতে মাথা ব্যথা উপশম হবে। ইসলামের মতে, দোয়া শুধুমাত্র একটি আধ্যাত্মিক শক্তি নয়, বরং এটি শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মাথা ব্যথার দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থঃ
এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো মাথা ব্যথার জন্য কিছু কার্যকরী দোয়া, তার বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থ, দোয়া পড়ার সঠিক নিয়ম, এবং এর ফজিলত কী। আল্লাহর রহমতে এই দোয়া গুলি নিয়মিত পাঠ করলে, মাথা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এখানে আমরা মাথা ব্যথার জন্য দুটি প্রধান দোয়া বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ উপস্থাপন করছি:
আরও পড়ুনঃ ক্যান্সার থেকে মুক্তির দোয়া।
১.মাথা ব্যথার দোয়া
আরবি:
اللهم إني أعوذ بك من الجوع فإنه بئس الضجيع، وأعوذ بك من الخيانة فإنه بئس البطانة
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আ’উযু বিকা মিন আল-জুউ’আনি ফাইননিহি বি’সাস-সাদজী‘ঈ, ওয়া আ’উযু বিকা মিন আল-খাইয়ানতী ফাইননিহি বি’সা-ল-বাতানাহ।
অর্থ:
হে আল্লাহ! আমি তোমার শরণাপন্ন হচ্ছি ক্ষুধা থেকে, কারণ এটি খুব খারাপ বন্ধু। এবং আমি তোমার শরণাপন্ন হচ্ছি বিশ্বাসঘাতকতা থেকে, কারণ এটি অত্যন্ত খারাপ সহচর।
এ দোয়া মাথা ব্যথা সহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য খুবই উপকারী। এর মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্তি হয় এবং শারীরিক অস্বস্তি দূর হয়।
আরও পড়ুনঃ যে দোয়া পড়লে ১০০% প্রেম হবেই।
২.মাথা ব্যথার দোয়া:
আরবি:
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
বাংলা উচ্চারণ:
বিসমিল্লাহিল্লাযি লা ইয়াদুরু মা’আ ইসমিহি শায়’উন ফি আল-আরদি ওয়া লা ফি আস-সামায়ী, ওয়া হুয়াস-সামিউল আলীম।
অর্থ:
আল্লাহর নামে যার নাম উচ্চারণে পৃথিবী ও আকাশে কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
এ দোয়া পড়ে আল্লাহর সাহায্য আশা করা হয়, যা মাথা ব্যথা সহ অন্যান্য শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
মাথা ব্যথার দোয়া
اللّهُمّ إني أعوذُ بكَ من البرَصِ والجذامِ ومن سيِّئِ الأسقامِ
(আল্লাহুম্মা ইন্নি আউঝু বিকা মিনাল বারাসি ওয়া জিলামি ওয়া মিন সাইয়ি আল আস্কাম)
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোর কাছে আশ্রয় চাই পীড়া, কুষ্ঠরোগ এবং অন্যান্য অসুখ থেকে।”
মাথা ব্যথার দোয়া হাদিসঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিন শার্রি মা আহু, ওয়া মিন শাররি মা মাবত (হাদিস, সহীহ মুসলিম)
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই সেই সকল বিপদ থেকে যা আমি জানি, এবং যা জানি না।”
এই দোয়া পাঠ করলে সমস্ত শারীরিক সমস্যার মধ্যে মাথাব্যথাও দূর হতে পারে।
জ্বর মাথা ব্যথার দোয়াঃ
“اللّهُمّ ربّ النّاس، أذهب البأس، اشفِ أنت الشّافي، لا شفاء إلا شفاؤك، شفاء لا يغادر سقمًا.”
অর্থ: “হে আল্লাহ, মানুষের রব, কষ্ট দূর কর, তুমি শিফা দানকারী, তুমিই একমাত্র শিফা দানকারী, শিফা দাও যা কোনো রোগ রেখে যাবে না।”
এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দোয়া, যা জ্বর, মাথাব্যথা বা অন্যান্য অসুখের ক্ষেত্রে পড়লে উপকার পাওয়া যায়।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫
চরিত্রহীন নারী চেনার ২০ টি সহজ উপায়।
কাজেই অনেকেই প্রশ্ন করে ? চরিত্রহীন নারী চেনার সহজ উপায়গুলো কি কি? চরিত্রহীন নারীর কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝা যায় এরা অসৎ। কিছু লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য দেখেই আপনি খুব সহজেই বুঝে নিতে পার আপনার সঙ্গী চরিত্রহীন কিনা। নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্যের চেয়ে তার চারিত্রিক সৌন্দর্য বেশি জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক, চরিত্রহীন নারী চেনার কিছু সহজ উপায়ঃ
চলুন জানা যাক অসৎ নারীদের চেনার ২০ টি সহজ উপায়ঃ
- একই সময়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সদ্ভাব রাখতে পছন্দ করে এবং এই ধরণের নারীর ছেলে বন্ধুর সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। এই ধরণের নারীর সংখ্যা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে।
- আমরা সকলেই জানি, লজ্জা নারীর অন্যতম ভূষণ। কিন্তু বর্তমানে চরিত্রহীন নারীর মধ্যে লাজ লজ্জার কোন বালাই দেখা যায় না। চরিত্রহীন নারী একেবারেই নির্লজ্জের হয়ে থাকে।
- চরিত্রহীন মেয়েরা ছেলেদের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে। আপনি দেখলেই বুঝতে পারবেন যে আপনাকে চোখ দিয়েই যেন গিলে খাচ্ছে।
- চরিত্রহীন নারীরা কথা বলার সময় নিজেদের সৌন্দর্যকে পুরুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে। বিশেষ পোশাক বা চুল নাড়াচাড়া করে অথবা বুকের ওড়না বারবার ঠিক করার ছলে পুরুষকে আকৃষ্ট করতে চায়।
- চরিত্রহীন নারীরা বারবার পুরুষের সাথে কথা বলতে চায়। পুরুষের সাথে কথা বলে এরা অনেক মজা পায়।
- চরিত্রহীন নারীর লক্ষণ এরা বারবার দেখা করার সুযোগ খোঁজে। একা একা পুরুষের সাথে দেখা করা এদের খুব পছন্দের।
- চরিত্রহীন নারীর বৈশিষ্ট্য এরা আলোচনার মাঝে মাঝে যৌনতা নিয়ে কথা বলে। এরা নিরিবিলিতে কথা বলে পুরুষের পাশাপাশি নিজেও উত্তেজিত হওয়ার চেষ্টা করে।
- চরিত্রহীন নারীরা মদ্যপান বা নেশায়ও আসক্ত থাকে।
- চরিত্রহীন নারীরা বিয়ের আগেই তাদের কুমারিত্ব বিলিয়ে দেই ।
- চরিত্রহীন নারীরা প্রথমে পুরুষের সাথে বন্ধুত্ব করে তারপর তাদের সাথে যৌনতা বিষয়ে আলোচনা করে।
- চরিত্রহীন নারীরা একসাথে একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এরা বহু পুরুষের সাথে সঙ্গমেও লিপ্ত হয়। এদের অনেক ছেলে বন্ধু থাকে।
- চরিত্রহীন নারীরা সবসময় খোলামেলা পোশাক পড়ে। নিজেদের শরীর পুরুষদের দেখিয়ে এরা আনন্দ পায়। কোনো পুরুষ কাম বাসনা নিয়ে তাকিয়ে থাকলে এরা মজা পায়।
- চরিত্রহীন নারীরা লোভী হয়ে থাকে। চরিত্রহীন নারীরা নিজের স্বার্থের জন্য এক সময় একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরা কখনো অল্পতে খুশি হয় না।
- চরিত্রহীন নারীরা বড়দের সম্মান করতে জানে না।বাবা মায়ের অবাধ্য হয়। এরা বড়দের কথা অমান্য করে। সব সময় নিজেদের মতোই চলে।
- চরিত্রহীন নারীরা প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। এরা কখনোই কথা দিয়ে কথা রাখে না। কোনো না কোনো সময় এরা কথার বর খেলাফ করবেই।
- মাঝরাতে মেসেজ করে। রাত ১টা, ২ টার সময়ও তাদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে, হটসএপে, ইমোতে অনলাইনে পাবেন।
- চরিত্রহীন মেয়েরা তাদের বাসায় পিতামাতা অনুপস্থিত থাকলে এই ফাঁকে ছেলে বন্ধুদের বাসায় নিয়ে আসে। মনের ভুলেও এই ধরণের ফাঁদে পা দিবেন না।
- চরিত্রহীন নারী সবসময় নির্জনে যেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে সুযোগ পেলে ছেলে বন্ধুদের সাথে আত্মীয় বাড়ি যেতেও রাজি হয়ে যায়।
- চরিত্রহীন নারী সবসময় পুরুষের সাথে ঘরাঘুরি করতে পছন্দ করে। সবসময় পুরুষের গাঁ ঘেঁষে থাকতে চায়। এই ধরণের মেয়ে দেখলেই বুঝতে পারবেন যে এরা সব সময় পুরুষের মুখে মুখেই থাকে।
- ইদানিং কালে এই ধরণের নারীরা ছেলে বন্ধু অথবা কলিগের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডা দেই এমনকি ছেলেদের সাথে বসে ধূমপানও করে। চায়ের দোকানে উচ্চস্বরে খোশগল্প করে। দেখে মনে হবে পুরুষরা এদের কাছে জিম্মি।
মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫
কিডনিতে পাথর হলে করণীয় ও চিকিৎসা।
বিপাক ক্রিয়ায় যেসব বর্জ্য পদার্থ সৃষ্টি হয়, তা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। সেই উপাদানগুলো দ্রবীভূত অবস্থা থেকে ঘনীভূত ও কঠিন হয়ে ক্ষুদ্র কণায় বা পাথরে পরিণত হয়। এ স্ফটিকের চারপাশে আরও ছোট ছোট কণা জমে ধীরে ধীরে বড় হয়ে পাথরে পরিণত হয়। ক্যালসিয়াম বা ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্ব বা পরিমাণ বেড়ে গেলে পাথর সৃষ্টি হতে পারে।
কিডনিতে পাথর এখন খুবই সাধারণ সমস্যা। এই রোগ নারী বা পুরুষ সবাই উভয়ই আক্রান্ত হতে পারেন। এই পাথর ধীরে ধীরে শরীরের কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। আর দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।
কিডনিতে পাথর কেন হয়?
যাঁরা গরম আবহাওয়ায় কাজ করেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে কিডনিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ, মূত্রপ্রবাহে বাধ, অতিরিক্ত লাল গোশত খাওয়া, হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম, বেশি বেশি ফাস্ট ফুড খাওয়া, ভাঁজাপোড়া খাওয়া, রেনাল টিউবুলার অ্যাসিডোসিস ও নেফ্রোক্যালসিনোসিসের মতো রোগ এবং কিছু জন্মগত ত্রুটিতেও পাথর হয়। প্রয়োজন ছাড়া অযথা অতিরিক্ত ভিটামিন সেবন, বিশেষ করে ভিটামিন সি ও ডি অক্সালেট ও ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।মূলত কিডনি পাথর কী?
কিডনির ভেতরে মিনারেল জমে স্ফটিকের মতো দানা পদার্থ তৈরি করে। এটাকেই কিডনি পাথর বলা হয়। অর্থাৎ ক্যালসিয়াম ও অক্সালেটের ডিপোজিশন হলে এই রোগের সৃষ্টি হয়।কিডনি রোগের লক্ষণ
- অনেক সময় কোনো লক্ষণ না–ও থাকতে পারে। মেরুদণ্ড বা অন্য কারণে চেকআপের সময় পাথর থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে।
- পেটের ওপরের দিক অথবা পিঠের দুপাশে ডানে বা বাঁয়ে মৃদু বা তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা অল্প একটু প্রস্রাব হয়েই আর না হওয়া, মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট পাথর যেতে পারে।
- কখনো কখনো কাঁপুনি দিয়ে জ্বর উঠে, বমিবমি ভাব বা বমি।
- ওপরের পেট বা পিঠের পাশ থেকে কুঁচকির দিকে বা পেটের নিচের দিকে দুপাশে বা কিংবা কোমরে তীব্র ব্যথা এবং সঙ্গে বমিবমি ভাব।
- বমি বমি ভাব হওয়া বা কখনও কখনও বমি হয়।
- তলপেটের নিচে এবং কুঁচকিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
- পাঁজরের নিচে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়া এবং এই ব্যথার তীব্রতা ২ ঘন্টা পর্যন্ত থাকতে পারে।
- প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হয় বা জ্বালা পোড়া করে এবং কালচে লাল, লাল কিংবা বিভিন্ন রঙের প্রস্রাব হওয়া।
- বারবার প্রসাবের বেগ আসে এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রস্রাব বেশি পরিমাণে হওয়া।
- দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হয়। কিডনিতে পাথর বিকাশের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের অবদান অনেক।
কিডনিতে পাথর নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা–নিরীক্ষা
প্রস্রাব, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্সরে করে পাথরের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়। সঠিক চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণের জন্য আইভিইউ অথবা সিটি স্ক্যান করতে হয়।কিডনি রোগের চিকিৎসা
যথাযথ চিকিৎসার আগপর্যন্ত সাধারণ ব্যথানাশক ও অ্যান্টিস্পাজমোডিক ওষুধ প্রয়োজন হয়। অনেক রোগীই এমন ওষুধ চান, যা খেলে পাথর গলে বের হয়ে যাবে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এমন কোনো কার্যকর ওষুধ নেই। পাথর ক্ষুদ্র হলে নিজেই বের হয়ে যেতে পারে, তবে পাথর বড় হলে অস্ত্রোপচার করে বের করতে হয়। পেট না কেটে নানাভাবে চিকিৎসা করে পাথর নিরাময় করা যায়।- প্রচুর পানি পান করতে হবে। দৈনিক আড়াই-তিন লিটার পানি পান করতে হবে ও সুষম খাদ্য খেতে হবে। খুব ছোট আকারের পাথর দেখা দিলে পরিমাণমতো পানি পানের মাধ্যমে তা সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
- রেডমিট কম খেতে হবে। যেসব খাদ্যে অক্সালেট বেশি থাকে তা–ও কম খেতে হবে যেমন, পালংশাক, স্ট্রবেরি, মাখন, চকলেট, দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
- তুলসী পাতায় থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনির পাথরকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত দুবার করে তুলসী পাতার রস খান। আর তুলসীর পাতা দিয়ে চা করেও পান করতে পারেন।
- পাতিলেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়ামজাত পাথর তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ছোট পাথরগুলোকে ভেঙে বের করে। রোজ সকালে পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশ্রিত করে পান করুন অথবা দিনের যেকোনো সময়ে লেবুর রস পান করুন।
- প্রয়োজন ছাড়া ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত নয়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম বা কায়িক শ্রম জরুরি।
- ডালিম রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং পাথর ও অন্যান্য টক্সিনকে দূর করতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সারাদিনে কতবার এটি পান করবেন তা ঠিক করুন।
- আপেল সিডার ভিনিগারে থাকা অ্যাসিটিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর দূর করে এবং ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। আপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে পান করুন। তবে একদিনে ১৫ চামচের বেশি খাবেন না।
- কালিজিরা বীজ একটি গবেষণা অনুযায়ী, কালিজিরার বীজ কিডনিতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট স্টোন গঠনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাধা দেয়। ২৫০ এমএল গরম জলে হাফ চা চামচ শুকনো কালিজিরা বীজ দিন। এটি দিনে দু'বার পান করুন।
সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪
১৮ তম লিখিত ফলাফল নিয়ে সর্বশেষ ভিডিও।
প্রিয় ১৮ তম লিখিত ফলাফল প্রত্যাশী ভাই বোনেরা আশা করি আপনারা ভালো আছেন। আসলে এই মুহূর্তে ভালো আছেন এই কথা বলার যুক্তিকথাও হারিয়ে ফেলেছি।
এনটিআরসিএ এর নাটক দেখতে দেখতে আপনারা ইতিমধ্যে হয়রান হয়ে গেছেন। আমি নিজেও ১৮ তম ফলাফল নিয়ে ভিডিও দেওয়ার মন মানুসিকতা হারিয়ে ফেলেছি। তবুও আপনারা অনেকেই আমার ভিডিও এর জন্য অপেক্ষায় থাকেন।
তবে আপনাদের বলতে চায় এতদিন যেহেতু কষ্ট করেছেন তাহলে আর কয়েকটা
দিন ধৈর্য ধরুন। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন আর একে অপরের জন্য দোয়া করুন। আমিও আপনাদের
জন্য মন প্রাণ দিয়ে দোয়া করি আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন আপনাদের সকলের হালাল ও উত্তম রিযিকের
ব্যবস্থা করে দিন। “আমিন”
এখন এনটিআরসি এর চলমান কার্যক্রম গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো
সেগুলো জানার পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা সহজেই অনুমান করতে পারবেন আসলে কবে নাগাদ ১৮ তমদের
লিখিত রেজাল্ট দিতে চলেছে।
আপনারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন নিউজ বা পত্রিকায় দেখেছেন এনটিআরসিএ
সকল ওয়েমার শীট এসে পৌঁছায় নি। কিছু পরিমান ওয়েমার শীট না আসার কারণে মূলত রেজাল্ট
আটকে আছে। পূর্বের ওয়েমার শীটের স্ক্যানিং এর কাজ শেষ। বাকি ওয়েমার শীট
গুলো এনটিআরসিতে পৌঁছালেই রেজাল্ট প্রস্তুত হয়ে যাবে।
এরই মাঝে এনটিআরসিএ টেলিটকের সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন। সকল
কাজ কমপ্লিট হলেই এনটিআরসিএ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও এনটিআরসিএ টেলিটক বিডি ডট কমের
মাধ্যমে রেজাল্ট প্রকাশ করবেন। এছাড়াও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের টেলিটক
ম্যাসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এনটিআরসিএ এর এসকল কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে বলা যায় আগামি ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে রেজাল্ট নিশ্চিত পেয়ে যাবেন। তবে বাকি ওয়েমার শিট ২ কর্ম দিবসের মধ্যে জমা হলে আগামি ১০ তারিখে রেজাল্ট দেওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
যদি ১০ তারিখে দিতে না পারে তাহলে ১১-১৩ তারিখ এই তিন দিন সরকারি ছুটি থাকার কারণে এই রেজাল্ট ১৭ তারিখ পর্যন্ত যেতে পারে। তবে আরও একটি সত্যি কথা হলো ওয়েমার শীট নিয়ে এনটিআরসিএ মূলত দোহায় দেখাচ্ছে।
আমার মনে হচ্ছে এনটিআরসিএ যে কোন মুহূর্তে ফল প্রকাশ করে দিবে। ১৭ তমতেও এমনটা করছিল কিন্তু হঠাত করেই রেজাল্ট দিয়ে দেই। কাজেই আর কয়েকটা দিন ধৈর্য ধরুন আর আল্লাহর উপর ভরশা করুন। সবার
প্রতি দোয়া রেখে এখানেই শেষ করছি। “আল্লাহ্ হাফেজ”
সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত ফল আগামী সপ্তাহে।
প্রিয় ১৮ তম পরীক্ষার্থী ভাই বোনেরা আমাদের Top Bangla Page ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেজ এবং আমাদের www.topbanglapage.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, প্রাইমারী ও এনটিআরসিএর প্রতিনিয়ত আপডেট নিউজ পাবলিশ করা হয়। কাজেই সাবস্ক্রাইব ও ফলো করে আমাদের সাথেই থাকুন।
অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী
সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে প্রধান পরীক্ষকরা সকল
বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন শেষ করে এনটিআরসিএ অফিসে জমা দিয়েছেন। বর্তমানে খাতাগুলোর স্ক্যানিং কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক
নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল
হক।
এনটিআরসিএ এর সচিব রিজওয়ানুল হক বলেন,
১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রস্তুতের কাজ অত্যান্ত দ্রুতগতিতে চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুততম
সময়ের মধ্যে ১৮ তমদের ফল প্রকাশ করবো। সেক্ষেত্রে অক্টোবরের
প্রথমদিকেই ফল প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।
আপনারা সকলেই জানেন শিক্ষক নিবন্ধনের খাতা
মুল্যায়নের জন্য ৪৫ দিন সময় নেওয়া হয় কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষ এবং অনিবার্য পরিস্থিতির
কারণে আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে অর্থাৎ ৬০ দিনের রেজাল্ট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা
রয়েছে। কিন্তু ইতিমধ্যে ৭৯ দিন পার হতে যাচ্ছে। কাজেই আমার ব্যক্তিগত মতামত
অনুযায়ী আগামী ১০ তারিখের মধ্যে লিখিত রেজাল্ট প্রকাশ হয়ে যাবে। “ইনশাল্লাহ”