রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কী খাবেন?
সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাসে রাতের খাবারের পর ঠিক ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কিছু খেতে পরামর্শ দেন অনেক ডাক্তারগণ। একে বেড টাইম স্ন্যাকস বলা হয়। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা কিছু খাদ্য খাওয়ার গুরুত্ব কী, এ সময় কী খাওয়া ভালো সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সারা দিনের খাবার ভেঙে ভেঙে পাঁচ বা ছয়বারে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এতে একসঙ্গে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায় না, অতিরিক্ত খিদেও পায় না। বেশি খাওয়ার প্রবণতা রোধ করা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা রাতের খাবারটি সন্ধ্যার পর সেরে ফেলেন, তাঁরা দেরিতে খাওয়া মানুষের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি ওজন কমাতে সক্ষম হন। হজমের সুবিধার্থে ও ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবারটি তাই রাত ৮ টার আগেই সেরে ফেলা উচিত।
এতে খাবারটি পুরোপুরি হজম ও বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য শরীরের এনজাইম ও হরমোনগুলো কাজ করার সুযোগ পায়। সে ক্ষেত্রে রাতের খাবারের বেশ খানিকক্ষণ পর ঘুমানোর আগে হালকা খাবার খেয়ে নিতে হবে, যাতে শেষ রাতে খিদে না পায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, তাঁদের প্রায়ই শেষ রাতে ব্লাডে শর্করা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ ছাড়া বেড টাইম স্ন্যাকস ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
ঘুমানোর আগে খাবার হতে হবে হালকা, কম ক্যালরিযুক্ত ও সহজ পাচ্য যা সহজে হজম হয়। শর্করা কম খাওয়াই ভালো। তেল, চর্বি বা ভাজাপোড়া খাবার খেলে পেটে গ্যাস হবে। এই খাবারে ট্রিপটোফেন (যেমন দুধ) থাকলে ভালো ঘুমের জন্য সাহায্য করে। খাবারের মান ১৫০ থেকে ২০০ ক্যালরি হলে ভালো। মূলত আমিষ ও সামান্য শর্করার হালকা মিশেলে খাবার বেছে নিন। প্রতিদিন একই খাবার খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আদর্শ বেড টাইম স্ন্যাকস কী হতে পারে? নিচে সেগুলো কিছু তালিকা দেওয়া হলঃ
- এক কাপ দুধ বা আধা কাপ টক দই অথবা লেবুর শরবত।
- এক বাটি সবজির স্যুপ।
- বেলের অথবা অন্যান্য ফলের শরবত। অবশ্যই বাসায় ব্লিন্ডারে তৈরি করতে হবে।
- একটি কমলালেবু বা একটি নাশপাতি অথবা একটি আপেল।
- দুটি বা তিনটি ভালো ব্রান্ডের বিস্কুট বা টোস্ট, সঙ্গে এক টুকরো পনির।
- বাদাম, কিশমিশ ও অন্যান্য শুষ্ক ফলসহযোগে একমুঠো শুকনো খাবার।
- দুইটি কলা অথবা ৫ থেকে ১০ টি আঙুর ফল ইত্যাদি।
0 coment rios: