বিয়ে করলে কি ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা বাড়ে? কেন বা কীভাবে?
প্রথম অংশঃ বিয়ে করলে কি ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা বাড়ে?
বিয়ে করলে শুধুমাত্র ম্যাচিউরিটিই বাড়ে না তার সাথে ধৈর্য,গুন,ক্ষমতা, সহনশীলতা, কর্তব্য, দায়িত্বশীলতা, অর্থ উপার্জনের জন্য মরিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ের ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এটাকে আপনি এক কথায় ম্যাচিউরিটি ধরে নিতে পারেন। তাই অবশ্যই বিয়ের পর ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা বাড়ে।
দ্বিতীয় অংশঃ বিয়ে করলে কিভাবে ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা বাড়ে?
- বিয়ে করলে নতুন একটি জীবনের সূচনা ঘটে। উদাহরণস্বরূপ আগে শুধু ধর্ম করেছেন। আর বিয়ে করার পর ধর্ম, কর্ম ও সংসার সবগুলো একসাথেই করতে হয়।
- বিয়ে করার পর নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয় যেমন শশুর, শাশুড়ি, শালা, সুমন্ধি,শালিকা, দেবর ভাসুর,ননদ,নুন্দাই ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলোও তো আরেকটি নতুন অভিজ্ঞতা তাই নয় কি?
- বিয়ে করার পর বাবার হোটেলে খাওয়ার আর কোন উপায় থাকে না। তাই কাজের সন্ধানে মাঠে কাচা মেরে লাগতে হয়। আর স্ত্রীর ঘরের কাজ সামলাতে হয়।
- বিয়ে করার পর আপনি নিজেকে অনেক দায়িত্ববান মনে করবেন। কারণ একে অপরের প্রতি অনেক কর্তব্য বেড়ে যায়।
- বিয়ের পর নারীরা আগের মত যেখানে সেখানে যেতে পারে না কারণ বিবাহিত জীবন সম্পূর্ণ উল্টো দিকে ঘোরে । আর পুরুষদের অকাজে কুকাজে কখনও বাড়ির বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। কারণ ঘরে জজ সাহেবা কড়াই কড়াই হিসাব কষবে।
- বিয়ের পর নারী পুরুষ উভয়ইের পিতামাতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য বেড়ে যায়।
- বিয়ের পরই কেবল সন্তান জন্ম হয়। আর এই সন্তান লালন পালনের জন্য পিতামাতার ভুমিকা ১০০% ম্যাচিউরিটি করে তোলে।তবে বিয়ে বাদেও সন্তান জন্ম হয় তবে এটা ইউরোপিয়ান দেশসমূহে ঘটে থাকে। আমাদের দেশেও হয় তবে সেটা অবৈধ উপায়ে। বোঝানোর জন্য বললাম আর কি। যদি আবার প্রশ্ন করে বসেন বিয়ে বাদে বাচ্চা হয় না নাকি? হি হি হি হি
- বিয়ের পর শারীরিক বিষয় সম্পর্কে অনেক ধারণার পরিবর্তন ঘটে যার ফলে নারী পুরুষের মধ্যে অন্যরকম পরিপক্বতা কাজ করে।
- বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোমন্দের জ্ঞান অনেকটা বৃদ্ধি পায়। কারণ একে অপরের সাথে আলাপ আলোচনার সূত্রে অনেক বিষয় পরিস্কার হয়ে যায়।
- স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কটা বিয়ের আগে কেউ জানতে পারে না। আমি যদি বলি বিয়ের আগেও যদি নারী ও পুরুষ একত্রে থাকে। তারপরও বিয়ের পরের হিসাবটা একেবারেই অন্যরকম।কারণ বিয়ের পর মন ও মানুসিকতার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
- আমি ইন্টারমিডিয়েটে সমাজবিজ্ঞানে বিবাহের প্রামাণ্য সংজ্ঞা পড়েছিলাম। সেই প্রামাণ্য সংজ্ঞাটি বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছিলেন। এখনও আমার মুখস্থ আছে। তিনি বলেছিলেন "বিবাহ জিনিসটা সভ্য সমাজের অন্য সব ব্যাপারের মতই প্রকৃতির অভিপ্রায়ের সাথে মানুষের অভিপ্রায়ের সন্ধি স্থাপনের ব্যাবস্থা"। কাজেই অসভ্য সমাজকে সভ্য করার একটি অন্যতম উপায় হল বিবাহ বা পরিবার। এখন অনায়াসে বলতে পারি বিবাহ মানুষকে সামাজিক করে তোলে। তাহলে তো ম্যাচিউরিটি এমনিতেই চলে আসছে।
- বিবাহ জিনিসটার মধ্যে সমস্ত সুবিধা বিরাজ করে তাইতো ইসলামে বিয়ে করা ফরজ বিশেষ দ্রষ্টব্য সবার ক্ষেত্রে না। তবে অনেকেই অসুবিধা বা সমস্যার মধ্যে পড়ে যান এটা তো আর বিয়ের দোষ না। বিয়ে করা মানুষের স্বভাব চরিত্র, পারিবারিক অন্যান্য দোষ। তাই বিয়ে করার পরে মানুষ অনেক কিছুর সম্মুখীন হন এর থেকে মানুষের শিক্ষা দীক্ষা বাড়ে।তার ফলে ম্যাচিউরিটি তো চলেই আসে।
অবশ্যই পোস্ট টি পড়ে যদি ভালো লাগে তাহলে একটা মন্তব্য করতে ভুলবেন না।
0 coment rios: