- অকাল কুষ্মাণ্ড= অপদার্থ, অকেজো
- অক্কা পাওয়া= মারা যাওয়া
- অগাধ জলের মাছ= সুচতুর ব্যক্তি
- অর্ধচন্দ্র= গলা ধাক্কা
- অন্ধের যষ্ঠি= একমাত্র অবলম্বন
- অন্ধের নড়ি= একমাত্র অবলম্বন
- অগ্নিশর্মা= নিরতিশয় ক্রুদ্ধ
- অগ্নিপরীক্ষা= কঠিন পরীক্ষা
- জলের মাছ= খুব চালাক
- অতি চালাকের গলায় দড়ি= বেশি চাতুর্যর পরিণাম
- অতি লোভে তাঁতি নষ্ট= লোভে ক্ষতি
- অদৃষ্টের পরিহাস= বিধির বিড়ম্বনা
- অর্ধচন্দ্র দেওয়া= গলা ধাক্কা দিয়ে দেয়া
- অষ্টরম্ভা= ফাঁকি
- অথৈ জলে পড়া= খুব বিপদে পড়া
- অন্ধকারে ঢিল মারা= আন্দাজে কাজ করা
- অমৃতে অরুচি= দামি জিনিসের প্রতি বিতৃষ্ণা
- অকূল পাথার= ভীষণ বিপদ
- অনুরোধে ঢেঁকি গেলা করতে সম্মতি দেয়া= অনুরোধে দুরূহ কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি দেয়া
- অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী= সামান্য বিদ্যার অহংকার
- অনধিকার চর্চা= সীমার বাইরে পদক্ষেপ
- অরণ্যে রোদন= নিষ্ফল আবেদন
- অহিনকুল সম্বন্ধ= ভীষণ শত্রুতা
- অন্ধকার দেখা= দিশেহারা হয়ে পড়া
- অমাবস্যার চাঁদ= দুর্লভ বস্তু
- আকাশ কুসুম= অসম্ভব কল্পনা
- আকাশ পাতাল= প্রভেদ
- আকাশ থেকে পড়া= অপ্রত্যাশিত
- আকাশের চাঁদ= আকাঙ্ক্ষিত বস্তু
- আগুন নিয়ে খেলা= ভয়ঙ্কর বিপদ
- আগুনে ঘি ঢালা= রাগ বাড়ানো
- আঙুল ফুলে কলাগাছ= ধনলাভ
- আঠার আনা= সমূহ সম্ভাবনা
- আদায় কাঁচকলায়= তিক্ত সম্পর্ক
- আহ্লাদে আটখানা= খুব খুশি
- আক্কেল সেলামি= নির্বুদ্ধিতার দণ্ড
- আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া= দুর্লভ বস্তু প্রাপ্তি
- আদায় কাঁচকলায়= শত্রুতা
- আদা জল খেয়ে লাগা= প্রাণপণ চেষ্টা করা
- আক্কেল গুড়ুম= হতবুদ্ধি, স্তম্ভিত
- আমড়া কাঠের ঢেঁকি= অপদার্থ
- আকাশ ভেঙে পড়া= ভীষণ বিপদে পড়া
- আটকপালে= হতভাগ্য
- আঠার মাসের বছর= দীর্ঘসূত্রিতা
- আলালের ঘরের দুলাল= অতি আদরে নষ্ট পুত্র
- আকাশে তোলা= অতিরিক্ত প্রশংসা করা
- আষাঢ়ে গল্প= আজগুবি কেচ্ছা
- ইঁদুর কপালে= নিতান্ত মন্দভাগ্য
- ইঁচড়ে পাকা= অকালপক্ব
- ইলশে গুঁড়ি= গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি
- ইতর বিশেষ= পার্থক্য
- উত্তম মধ্যম= প্রহার
- উড়নচন্ডী= অমিতব্যয়ী
- উভয় সংকট= দুই দিকেই বিপদ
- উলু বনে মুক্ত ছড়ানো= অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান
- উড়ো চিঠি= বেনামি পত্র
- উড়ে এসে জুড়ে বসা= অনধিকারীর অধিকার
- উজানে কৈ= সহজলভ্য
- উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে= একের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানো
- ঊনপাঁজুড়ে= অপদার্থ
- ঊনপঞ্চাশ বায়ু= পাগলামি
- এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো= একই স্বভাবের
- এক চোখা= পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট
- এক মাঘে শীত যায় না= বিপদ এক বারই আসে না, বার বার আস
- এসপার ওসপার= মীমাংসা
- একাদশে বৃহস্পতি= সৌভাগ্যের বিষয়
- এক বনে দুই বাঘ= প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী
- এক ক্ষুরে মাথা মুড়ানো= একই দলভুক্ত
- এক করতে আর এলাহি কাণ্ড= বিরাট আয়োজন
- ওজন বুঝে চলা= অবস্থা বুঝে চলা
- ওষুধে ধরা= প্রার্থিত ফল পাওয়া
- কচুকাটা করা= নির্মমভাবে ধ্বংস করা
- কচু পোড়া= অখাদ্য
- কচ্ছপের কামড়= যা সহজে ছাড়ে না
- কলম পেষা= কেরানিগিরি
- কলুর বলদ= এক টানা খাটুনি
- কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্তু
- কাকতাল যোগাযোগজাত ঘটনা= আকস্মিক/দৈব যোগাযোগজাত ঘটনা
- কপাল ফেরা= সৌভাগ্য লাভ
- কত ধানে কত চাল= হিসেব করে চলা
- কান খাড়া করা= মনোযোগী হওয়া
- কানকাটা= নির্লজ্জ
- কান ভাঙানো= কুপরামর্শ দান
- কান ভারি করা= কুপরামর্শ দান
- কাপুড়ে বাবু= বাহ্যিক সাজ
- কেউ কেটা=গণ্যমান্য
- কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ
- কেঁচো খুড়তে সাপ= বিপদজনক পরিস্থিতি
- কই মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না
- কুঁড়ের বাদশা= খুব অলস
- কাক ভূষণ্ডী= দীর্ঘজীবী
- কেতা দুরস্ত= পরিপাটি
- কাছা আলগা= অসাবধান
- কাঁচা পয়সা= নগদ উপার্জন
- কাঁঠালের আমসত্ত্ব= অসম্ভব বস্তু
- কূপমণ্ডুক= সীমাবদ্ধ জ্ঞান সম্পন্ন, ঘরকুনো
- কেতা দুরস্ত= পরিপাটি
- কাঠের পুতুল= নির্জীব, অসার
- কথায় চিঁড়ে ভেজা= ফাঁকা বুলিতে কার্যসাধন
- কান পাতলা= সহজেই বিশ্বাসপ্রবণ
- কাছা ঢিলা= অসাবধান
- কুল কাঠের আগুন= তীব্র জ্বালা
- কেঁচো খুড়তে সাপ= সামান্য থেকে অসামান্য পরিস্থিতি
- কেঁচে গণ্ডুষ= পুনরায় আরম্ভ
- কৈ মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে না
- খয়ের খাঁ= চাটুকার
- খণ্ড প্রলয়= ভীষণ ব্যাপার
- গড্ডলিকা প্রবাহ= অন্ধ অনুকরণ
- গদাই লস্করি চাল = অতি ধীর গতি, আলসেমি
- গণেশ উল্টানো= উঠে যাওয়া, ফেল মারা
- গলগ্রহ= পরের বোঝা স্বরূপ থাকা
- গরজ বড় বালাই= প্রয়োজনে গুরুত্ব
- গরমা গর= টাটকা
- গরিবের ঘোড়া রোগ= অবস্থার অতিরিক্ত অন্যায় ইচ্ছা
- গুর খোঁজা= তন্ন তন্ন করে খোঁজা
- গুরু মেরে জুতা দান= বড় ক্ষতি করে সামান্য ক্ষতিপূরণ
- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল= প্রাপ্তির আগেই আয়োজন
- গা ঢাকা দেওয়া= আত্মগোপন
- গায়ে কাঁটা দেওয়া= রোমাঞ্চিত হওয়া
- গাছে তুলে মই= সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা
- গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো= কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করা
- গুরু মারা বিদ্যা= যার কাছে শিক্ষা তারই উপর প্রয়োগ
- গোকুলের ষাঁড়= স্বেচ্ছাচারী লোক
- গোঁয়ার গোবিন্দ= নির্বোধ অথচ হঠকারী
- গোল্লায় যাওয়া= নষ্ট হওয়া, অধঃপাতে যাওয়া
- গোবর গণেশ= মূর্খ
- গোলক ধাঁধা= দিশেহারা
- গোঁফ খেজুরে= নিতান্ত অলস
- গোড়ায় গলদ= শুরুতে ভুল
- গৌরচন্দ্রিকা= ভূমিকা
- গৌরীসেনের টাকা= বেহিসাবী অর্থ
- গুড়ে বালি= আশায় নৈরাশ্য
- ঘর ভাঙানো= সংসার বিনষ্ট করা
- ঘাটের মরা= অতি বৃদ্ধ
- ঘোড়া রোগ= সাধ্যের অতিরিক্ত সাধ
- ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া= মধ্যবর্তীকে অতিক্রম করে কাজ করা
- ঘোড়ার ঘাস কাটা= অকাজে সময় নষ্ট করা
- ঘোড়ার ডিম= অবাস্তব
- ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো= নিজ খরচে পরের বেগার খাটা
- ঘাটের মড়া= অতি বৃদ্ধ
- ঘটিরাম= আনাড়ি হাকিম
- চক্ষুদান করা= চুরি করা
- চক্ষুলজ্জা= সংকোচ
- চর্বিত চর্বণ= পুনরাবৃত্তি
- চাঁদের হাট= আনন্দের প্রাচুর্য
- চিনির বলদ= ভারবাহী কিন্তু ফল লাভের অংশীদার নয়\
- চোখের বালি= চক্ষুশূল
- চোখের পর্দা= লজ্জা
- চোখ কপালে তোলা = বিস্মিত হওয়া
- চোখ টাটানো= ঈর্ষা করা
- চোখে ধুলো দেওয়া= প্রতারণা করা
- চোখের চামড়া= লজ্জা
- চুনকালি দেওয়া= কলঙ্ক
- চশমখোর= চক্ষুলজ্জাহীন
- চোখের মণি= প্রিয়
- চামচিকের লাথি= নগণ্য ব্যক্তির কটূক্তি
- চিনির পুতুল= শ্রমকাতর
- চুঁনোপুটি= নগণ্য
- চুলোয় যাওয়া= ধ্বংস
- চিনে/ছিনে জোঁক= নাছোড়বান্দা
- ছ কড়া ন কড়া= সস্তা দর
- ছা পোষা= অত্যন্ত গরিব
- ছাই ফেলতে ভাঙা কুলা= সামান্য কাজের জন্য অপদার্থ ব্যক্তি
- ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করা= নগণ্য স্বার্থে দুর্নাম অর্জন
- ছক্কা পাঞ্জা= বড় বড় কথা বল
- ছিনিমিনি খেলা= নষ্ট করা
- ছেলের হাতের মোয়া= সহজলভ্য বস্তু
- জগাখিচুড়ি পাকানো= গোলমাল বাধানো
- জিলাপির প্যাঁচ= কুটিলতা
- জীবিতপ্রায় জলে কুমির ডাঙায় বাঘ= উভয় সঙ্কট
- ঝড়ো কাক ➯ বিপর্যস্ত= বিপর্যস্ত
- ঝাঁকের কৈ= এক দলভুক্ত
- ঝিকে মেরে বউকে বোঝানো= একজনের মাধ্যমে দিয়ে অন্যজনকে শিক্ষাদান
- ঝোপ বুঝে কোপ মারা= সুযোগ মত কাজ করা
- টেকে গোঁজা= আত্মসাৎ করা
- টুপভুজঙ্গ= নেশায় বিভোর
- ঠাট বজায় রাখা= অভাব চাপা রাখা
- ঠোঁট কাটা= বেহায়া
- ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়= আদর্শহীনতার প্রাচুর্য
- ঠুঁটো জগন্নাথ= অকর্মণ্য
- ঠেলার নাম বাবাজি= চাপে পড়ে কাবু
- ডুমুরের ফুল= দুর্লভ বস্তু
- ডাকের সুন্দরী= খুবই সুন্দরী
- ডুমুরের ফুল= দুর্লভ
- ডান হাতের ব্যাপার= খাওয়া
- ডামাডোল= গণ্ডগোল
- ঢাক ঢাক গুড় গুড়= গোপন রাখার চেষ্টা
- ঢাকের কাঠি= মোসাহেব, চাটুকার
- ঢাকের বাঁয়া= অপ্রয়োজনীয়\
- ঢেঁকির কচকচি = বিরক্তিকর কথা\
- ঢি ঢি পড়া= কলঙ্ক প্রচার হওয়া
- ঢিমে তেতালা= মন্থর
- তালকানা= বেতাল হওয়া
- তাসের ঘর= ক্ষণস্থায়ী
- তামার বিষ= অর্থের কু প্রভাব
- তালপাতার সেপাই= ক্ষীণজীবী
- তিলকে তাল করা= বাড়িয়ে বলা
- তুলসী বনের বাঘ= ভণ্ড
- তুলা ধুনা করা= দুর্দশাগ্রস্ত করা
- তুষের আগুন= দীর্ঘস্থায়ী ও দুঃসহ যন্ত্রণা
- তীর্থের কাক= প্রতীক্ষারত
- থ বনে যাওয়া= স্তম্ভিত হওয়া
- থরহরি কম্প= ভীতির আতিশয্যে কাঁপা
- দা-কুমড়া= ভীষণ শত্রুতা
- দহরম মহরম= ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক
- দু মুখো সাপ= দু জনকে দু রকম কথা বলে পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টিকারী
- দুধে ভাতে থাকা= খেয়ে-পড়ে সুখে থাকা
- দেঁতো হাসি= কৃত্তিম হাসি
- দাদ নেওয়া= প্রতিশোধ নেয়া
- দুকান কাটা= বেহায়া
- দুধের মাছি= সু সময়ের বন্ধু
- ধরাকে সরা জ্ঞান করা= সকলকে তুচ্ছ ভাবা
- ধড়া-চূড়া= সাজপোশাক
- ধরাকে সরা জ্ঞান করা= অহঙ্কারে সবকিছু তুচ্ছ মনে করা
- ধর্মের ষাঁড়= যথেচ্ছাচারী
- ধর্মের কল বাতাসে নড়ে= সত্য গোপন থাকে না
- ধরি মাছ না ছুঁই পানি= কৌশলে কার্যাদ্ধার
- ননীর পুতুল= শ্রমবিমুখ
- নয় ছয়= অপচয়
- নাটের গুরু= মূল নায়ক
- নাড়ি নক্ষত্র= সব তথ্য
- নিমক হারাম= অকৃতজ্ঞ
- নিমরাজি= প্রায় রাজি
- নামকাটা সেপাই= কর্মচ্যূত ব্যক্তি
- নথ নাড়া= গর্ব করা
- নেই আঁকড়া= একগুঁয়ে
- নগদ নারায়ণ= কাঁচা টাকা/নগদ অর্থ
- নেপোয় মারে দই= ধূর্ত লোকের ফল প্রাপ্তি
- পটল তোলামারা যাওয়া
- পগার পার= আয়ত্তের বাইরে পালিয়ে যাওয়া
- পটের বিবি= সুসজ্জিত
- পত্রপাঠ= অবিলম্বে/সঙ্গে সঙ্গে
- পালের গোদা= দলপতি
- পাকা ধানে মই= অনিষ্ট করা
- পাখিপড়া করা= বার বার শেখানো
- পাততাড়ি গুটানো= জিনিসপত্র গোটানো
- পাথরে পাঁচ কিল= সৌভাগ্য
- পুঁটি মাছের প্রাণ= যা সহজে মরে যায়
- পুকুর চুরি= বড় রকমের চুরি
- পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটা= পুরোনো প্রসঙ্গে কটাক্ষ করা
- পোঁ ধরা= অন্যকে দেখে একই কাজ করা
- পোয়া বারো= অতিরিক্ত সৌভাগ্য
- প্রমাদ গোণা= ভীত হওয়া
- পায়াভারি= অহঙ্কার
- পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা= অপরকে দিয়ে কাজ উদ্ধার
- পরের ধনে পোদ্দারি= অন্যের অর্থের যথেচ্ছ ব্যয়
- ফপর দালালি= অতিরিক্ত চালবাজি
- ফুলবাবু= বিলাসী
- ফেউ লাগা= আঠার মতো লেগে থাকা
- ফুলের ঘাঁয়ে মূর্ছা যাওয়া= অল্পে কাতর
- ফোড়ন দেওয়া= টিপ্পনী কাটা
- বক ধার্মিক= ভণ্ড সাধু
- বইয়ের পোকা= খুব পড়ুয়া
- বগল বাজানো= আনন্দ প্রকাশ করা
- বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো= সহজে খুলে যায় এমন
- বসন্তের কোকিল= সুদিনের বন্ধু
- বিড়াল তপস্বী= ভণ্ড সাধু
- বর্ণচোরা আম= কপট ব্যক্তি
- বরাক্ষরে= অলক্ষুণে
- বাজারে কাটা= বিক্রি হওয়া
- বালির বাঁধ= অস্থায়ী বস্তু
- বাঁ হাতের ব্যাপার= ঘুষ গ্রহণ
- বাঁধা গৎ= নির্দিষ্ট আচরণ
- বাজখাঁই গলা= অত্যন্ত কর্কশ ও উঁচু গলা
- বাড়া ভাতে ছাই= অনিষ্ট করা
- বায়াত্তরে ধরা= বার্ধক্যের কারণে কাণ্ডজ্ঞানহীন
- বিদ্যার জাহাজ= অতিশয় পণ্ডিত
- বিশ বাঁও জলে= সাফল্যের অতীত
- বিনা মেঘে বজ্রপাত= আকস্মিক বিপদ
- বাঘের দুধ/ চোখ= দুঃসাধ্য বস্তু
- বিসমিল্লায় গলদ= শুরুতেই ভুল
- বুদ্ধির ঢেঁকি= নিরেট মূর্খ
- ব্যাঙের আধুলি= সামান্য সম্পদ
- ব্যাঙের সর্দি= অসম্ভব ঘটনা
- ভরাডুবি= সর্বনাশ
- ভস্মে ঘি ঢালা= নিষ্ফল কাজ
- ভাদ্র মাসের তিল= প্রচণ্ড কিল
- ভানুমতীর খেল= অবিশ্বাস্য ব্যাপার
- ভাল্লুকের জ্বর= ক্ষণস্থায়ী জ্বর
- ভাঁড়ে ভবানী= নিঃস্ব অবস্থা
- ভূতের ব্যাগার= অযথা শ্রম
- ভূঁই ফোড়= হঠাৎ গজিয়ে ওঠা
- ভিজে বিড়াল= কপটাচারী
- ভূশন্ডির কাক= দীর্ঘজীবী
- মগের মুল্লুক= অরাজক দেশ
- মণিকাঞ্চন যোগ= উপযুক্ত মিলন
- মন না মতি= অস্থির মানব মন
- মড়াকান্না= উচ্চকণ্ঠে শোক প্রকাশ
- মাছের মায়ের পুত্রশোক= কপট বেদনাবোধ
- মিছরির ছুরি= মুখে মধু অন্তরে বিষ
- মুখ চুন হওয়া= লজ্জায় ম্লান হওয়া
- মুখে দুধের গন্ধ= অতি কম বয়স
- মুস্কিল আসান=নিষ্কৃতি
- মেনি মুখো= লাজুক
- মাকাল ফল= অন্তঃসারশূণ্য
- মশা মারতে কামান দাগা= সামান্য কাজে বিরাট আয়োজন
- মুখে ফুল চন্দন পড়া= শুভ সংবাদের জন্য ধন্যবাদ
- মেছো হাটা= তুচ্ছ বিষয়ে মুখরিত
- যক্ষের ধন= কৃপণের ধন
- যমের অরুচি= যে সহজে মরে না
- রত্নপ্রসবিনী= সুযোগ্য সন্তানের মা
- রাঘব বোয়াল= সর্বগ্রাসী ক্ষমতাবান ব্যক্তি
- রাবণের চিতা= চির অশান্তি
- রাশভারি= গম্ভীর প্রকৃতির
- রাই কুড়িয়ে বেল= ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে বৃহৎ
- রাজা উজির মারা= আড়ম্বরপূর্ণ গালগল্প
- রাবণের গুষ্টি= বড় পরিবার
- রায় বাঘিনী= উগ্র স্বভাবের নারী
- রাজ যোটক= উপযুক্ত মিলন
- রাহুর দশা= দুঃসময়
- রুই-কাতলা= পদস্থ বা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি
- লেফাফা দুরস্ত= বাইরের ঠাট বজার রেখে চলেন যিনি
- লগন চাঁদ= ভাগ্যবান
- ললাটের লিখন= অমোঘ ভাগ্য
- লাল পানি= মদ
- লাল বাতি জ্বালা= দেউলিয়া হওয়া
- লাল হয়ে যাওয়া= ধনশালী হওয়া
- লেজে গোবরে= বিশৃঙ্খলা
- শকুনি মামা= কুটিল ব্যক্তি
- শাঁখের করাত= দুই দিকেই বিপদ
- শাপে বর= অনিষ্টে ইষ্ট লাভ
- শিকায় ওঠা= স্থগিত
- শিঙে ফোঁকা= মরা
- শিবরাত্রির সলতে= একমাত্র সন্তান
- শিরে সংক্রান্তি= বিপদ মাথার ওপর
- শুয়ে শুয়ে লেজ নাড়া= আলস্যে সময় নষ্ট করা
- শরতের শিশির= সুসময়ের বন্ধু
- শত্রুর মুখে ছাই= কুদৃষ্টি এড়ানো
- শ্রীঘর= কারাগার
- ষাঁড়ের গোবর=অযোগ্য
- ষোল আনা= পুরোপুরি
- ঘোল কলা= পুরোপুরি
- সবুরে মেওয়া ফলে= ধৈর্যসুফল মিলে
- সরফরাজি করা= অযোগ্য ব্যক্তির চালাকি
- সাত খুন মাফ= অত্যধিক প্রশ্রয়
- সাত সতের= নানা রকমের
- সাপের ছুঁচো গেলা= অনিচ্ছায় বাধ্য হয়ে কাজ করা
- সেয়ানে সেয়ানে= চালাকে চালাকে
- সবে ধন নীলমণি= একমাত্র অবলম্বন
- সাতেও নয়, পাঁচেও নয়= নির্লিপ্ত
- সাপের পাঁচ পা দেখা= অহঙ্কারী হওয়া
- সোনায় সোহাগা= উপযুক্ত মিলন
- সাক্ষী গোপাল= নিষ্ক্রিয় দর্শক
- সখাত সলিলে= ঘোর বিপদে পড়া
- সব শেয়ালের এক রা= ঐকমত্য
- হাটে হাঁড়ি ভাঙা= গোপন কথা প্রকাশ করা
- হাতটান= চুরির অভ্যাস
- হ য ব র ল= বিশৃঙ্খলা
- হরি ঘোষের গোয়াল= বহু অপদার্থ ব্যক্তির সমাবেশ
- হরিলুট= অপচয়
- হস্তীমূর্খ=বুদ্ধিতে স্থূল
- হাড়ে দুর্বা গজানো= অত্যন্ত অলস হওয়া
- হাতুড়ে বদ্যি= আনাড়ি চিকিৎসক
- হাতের পাঁচ= শেষ সম্বল
- হীরার ধারঅতি= তীক্ষ্ণবুদ্ধি
- হোমরা চোমরা= গণ্যমান্য ব্যক্তি
- হিতে বিপরীত= উল্টো ফল
- হাড় হদ্দ= নাড়ি নক্ষত্র/সব তথ্য
- হাড় হাভাতে= হতভাগ্য
- হালে পানি পাওয়া= সুবিধা করা
বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৯
Author: Md. Sazedur Rahman
আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।
0 coment rios: