একজন মা তার সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সব ধরণের অসম্ভবকেই সম্ভব করে তুলতে পারেন। সন্তানের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সে সমস্ত কিছু ত্যাগ বিসর্জন দিতে সর্বদা প্রস্তুত থাকেন।। এমনই এক দৃষ্টান্ত দেখা গেলো তামিলনাড়ুর অন্তর্গত সেলিম শহরে। এক মা তার ক্ষুধার্ত সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য বিক্রি করলেন নিজের মাথার চুল।
আমি এতক্ষণ ধরে বলছিলাম তামিলনাড়ুর সেলিম শহরের বাসিন্দা প্রেমার কথা। আট মাস আগে আত্মহত্যা করে মৃত্যু হয় স্বামীর। স্বামী মারা যাওয়ার পর রোজগারের মত তেমন আর কেউ থাকে না। এতদিন ঋণ ধার করে কোন রকম চলছিল তার সংসার। আস্তে আস্তে ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। তার মোট তিন সন্তান একজন ৫ বছরের এবং বাকি দুজন ২ ও ৩ বছরের হবে।
শুক্রবার তার হাতে কিছু কিনে খাওয়ার মত কোন টাকা পয়সা ছিল না। প্রচন্ড খিদের জালায় কাঁদছিল তার ছোট ছোট তিন শিশু। এই সময় কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলনা অসহায় প্রেমা। ঐ সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল এক চুল ক্রেতা। তার কাছে মাত্র ১৫০ টাকায় বিক্রি করে নিজের সমস্ত চুল। সেখান থেকে ১০০ টাকায় সন্তানদের খাওয়ায় আর ৫০ টাকায় কীটনাশক কিনে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। প্রেমার এক বোন আত্মহত্যা থেকে তাকে রক্ষা করে।
চুল বিক্রির সময় জি বালা নামের এক ব্যক্তি দেখেন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি পোষ্ট করেন এবং সাহায্যের জন্য অনেকেই হাত বাড়িয়ে দেই। সাহায্যের পরিমাণ এসে দাড়ায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ইটভাটায় কাজ করেন প্রেমা।
একমাত্র মা তার সন্তানের জন্য এমন ত্যাগ তিতিক্ষা বিসর্জন দিতে পারেন। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত মাকে ভালোবাসা। মাকে কোন রকম কস্ট না দেওয়া। বিশেষ করে বৃদ্ধ বয়সে মা বাবার পাশে থাকা প্রত্যেক সন্তানের নৈতিক কর্তব্য। যারা মা বাবাকে ভালবাসবে না তাদের ইহকাল ও পরকালে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই ওয়াদা করি মা বাবাকে কখনই অবহেলা করব না।
0 coment rios: