হ্যালো বন্ধুরা প্রত্যেক পুরুষের নারী সংগ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের অনেকেরই অজানা সঙ্গী হিসেবে কেমন নারী দরকার। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী ৪ ধরণের নারীকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বাছাই করার কথা বলেছেন। আসুন আজকের এই আর্টিকেলের এর মাধ্যমে কেমন নারী গ্রহণ করা উচিত সেই সম্পর্কে জানবো। কাজেই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
একজন নারী ও পুরুষ বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পূর্ণাঙ্গ ঈমানদারে পরিণত হয়। বিয়ের জন্য পাত্রী নির্বাচনের রয়েছে বেশ কিছু সুন্নাতি পদ্ধতি। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের মাধ্যমে বলেছেন সম্পদের মালিক, সুস্থ, স্বাধীন ও প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির জন্য বিয়ে করা অত্যান্ত জরুরী। বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয় লক্ষ্য করতে হয় সে গুলো হোল স্নেহময়ী নারী, অধিক সন্তান দানকারী এমন নারী, কুমারী, দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী নারীকে বিয়ে করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাত্রী নির্বাচনের সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেছেন। যা এখানে তুলে ধরা হলোঃ
হজরত আবু হুরায়রা (রা:) আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নারীদেরকে চারটি জিনিসের জন্য বিয়ে করা হয়।
যথাঃ
১. সম্পদের জন্য,
২. বংশ-বুনিয়াদের জন্য,
৩. সৌন্দর্যের জন্য এবং
৪. দ্বীনদারীর জন্য।
অতএব দ্বীনদার নারীদেরকেই অগ্রাধিকার দাও। তোমার হাত ধূসরিত ও মঙ্গলময় হোক। (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং বিয়ে করার সময় আমাদের দেখতে হবে পাত্রীর অর্থ-সম্পদ কেমন আছে, যদি না থাকে তবে দেখতে হবে তাঁর বংশ পরিচয় কেমন, যদি তাও সন্তোষ জনক না হয়, তবে দেখতে হবে ঐ পাত্রী সৌন্দর্য তথা সুন্দর ও আচার-আচরণে সভ্য ও নম্র ভদ্র আছে কিনা? যদি তাও পাওয়া না যায় তবে দেখতে হবে তার মাঝে দ্বীনদারি আছে কিনা অর্থাৎ সে নারীর মাঝে আল্লাহ ভয় এবং মহব্বত আছে কিনা। তবে যদি কোনো নারীর মাঝে শুধুমাত্র দ্বীনদারী পাওয়া যায়, তবে সেই নারী বিয়ের জন্য সবচেয়ে উত্তম। আর এ চারটির কোনো একটি পাওয়া গেলে সে নারীকে বিয়ে করা সুন্নত।
আল্লাহ তাআলা হাদিসে বর্ণনা মতে মুসলিম জাতির সকল পুরুষকে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিস্তারিত জান্তেও নিচের ভিডিও টি দেখুনঃ
0 coment rios: