রবিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২০

বিদেশ কিংবা দূর থেকে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে বশে রাখুন।

বিদেশ কিংবা দূর থেকে স্ত্রী বা প্রেমিকাকে বশে রাখুন।

স্বামী বিদেশ যাওয়ার আগে স্ত্রীকে বলে গেলো আমি বাড়ি না আসা পর্যন্ত আমার বাড়ি তুমি থেকে কখনই বের হবে না।কয়েকদিন পর স্ত্রীর কাছে খবর আসলো তার বাবা অনেক অসুস্থ্য, কিন্তু তিনি দেখতে যাননি। আবার খবর আসলো তার বাবা মারা গেলো, তার পরও তিনি বাবাকে শেষ দেখা দেখতে যাননি। বাবা মারা যাওয়ার কিছু দিন পর স্বামী বাড়ি আসলো। তখন স্ত্রী স্বামীকে সব খুলে বললো। এবং স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি গেলো। একদিন রাতে স্ত্রী স্বপ্নে দেখেন, তার বাবা এসে বলতেছেন, মা তোমার জন্য আজ আমি বেহেস্তের অনাবিল সুখে আছি। তুমি যদি তোমার স্বামীর নিষেধ অমান্য করে আমাকে দেখতে আসতে তাহলে আমিও সেই পাপের অংশিদ্বার হতাম। ইসলামে এমন ও বিধান আছে যে স্বামীর অনুমিত ছাড়া ফকির কে ১টাকা ভিক্ষা দিতে পারবে না। অথচ বর্তমানে স্ত্রীরা স্বামীকে না জানিয়ে স্বামী সম্পদ ভোগ বিলাসীতায় নষ্ট করেন।

আবার স্বামীর অবাধ্য হয়ে যখন যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়, যখন যেখানে ইচ্ছে সেখানেই ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে যাদের স্বামী বিদেশ থাকে তাদের স্ত্রীগণ বাজারে ঘুরে বেড়ায় শুধু তাই নয় পরকীয়া প্রেমে তারাই বেশি জড়ায়। আপনি যার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারাদিন কষ্ট করে টাকা পাঠাচ্ছেন। বাড়িতে এসে দেখলেন আপনার স্ত্রী অন্যের হাত ধরে চলে গেছেন। নতুবা পরকিয়া করে তিল কে তাল করেছে আর খাল কে সাগর করে ফেলেছে। আপনারা মনে কিছু নিয়েন না। কারণ এমনটাই বেশি হচ্ছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসছে আমি তো বিদেশ কিংবা দূরে থাকি তাহলে আমি কি করব।  আপনার প্রশ্নের সঠিক উত্তর হবে আগে নিজে সৎ থাকুন বিদেশে গিয়ে আবার কাজের বুয়ার সাথে আকাম করবেন না। কারণ পবিত্র কোরআনে বলছে সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্য সচ্চরিত্র নারীকুল। আপনি অসৎ হয়ে আপনার স্ত্রীর সৎ থাকার চিন্তা করা মানে বোকার স্বর্গে বাস করা। 

এখন আপনাকে জানাবো ছোট একটি আমলের মাধ্যমে বিদেশ কিংবা দূরে থেকেও আপনার স্ত্রীকে বশে রাখতে পারবেন। আপনার এই ছোট আমলই আপনার স্ত্রীকে সচ্চরিত্র রাখতে বাধ্য করবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকেউ সচ্চরিত্রবান হতে হবে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে; যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির করবে; সে জান্নাতে যাবে।’এ গুণবাচক নামগুলোর আলাদা আলাদা আমল এবং অনেক উপকার ও ফজিলত রয়েছে। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নাম সমূহের মধ্যে (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’ একটি। এ পবিত্র নামের আমলের মাধ্যমে অবাধ্য স্ত্রীকে সংশোধন করা যায়।
 
*যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’-এর জিকির অধিক পরিমাণে করে; সে ব্যক্তি সৃষ্টি জগতের অন্তরের খবরাখবর অবহিত হতে পারে।

*যদি কোনো ব্যক্তির স্ত্রী বা বাদি এমন বদ চরিত্রের অধিকারী হয় যে, তারা ওই ব্যক্তির কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সে যেন ওই স্ত্রী বা বাদির নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় বা তার কাছে অবস্থান করে আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক নাম (اَلْوَلِيُّ) ‘আল-ওয়ালিয়্যূ’-এর জিকির অধিক পরিমাণে আদায় করে। এ নামের অধিক জিকিরের ফলে আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় বদ স্বভাবের স্ত্রী বা বাদি সংশোধন হয়ে যাবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর অবাধ্য স্ত্রীর স্বামীদেরকে বা অধিনস্থ অবাধ্য নারীদেরকে উক্ত আমলের মাধ্যমে সংশোধন করার তথা দ্বীনের সঠিক পথে ফিরিয়ে আনার তাওফিক দান করুন। আমিন।


শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: