মাছে ভাতে বাঙালি এ কথা কে না জানে। কারণ মাছ আমাদের অত্যান্ত প্রিয় খাবার। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই পৃথিবীতে ৪০ হাজারেরও বেশি প্রজাতি মাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আপনি কত প্রকার মাছ সম্পর্কে জানেন? এই পৃথিবীতে এমনও সুন্দর সুন্দর মাছ আছে যেগুলো আপনি জীবনে হয়তো নামও শোনেননি এমনকি দেখেননি। আজ হিডেন ফক্স ওয়ার্ল্ড চ্যানেলের ভিউয়ারসদের জন্য এমন ১০ অপূর্ব সুন্দর মাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, এই মাছ গুলো দেখার সাথে সাথে আপনার চোখ দুটো বিমোহিত হয়ে যাবে। তাই ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে শুরু করছি।
১০। প্যারোটফিশ
মাছটি দেখলে মনে হবে কোনও চিত্রশিল্পী হয়তো একে ধরে ইচ্ছেমতো রঙ মেখে দিয়েছেন। এই মাছের সৌন্দর্য তোতাপাখির চেয়ে কোনো দিক দিয়েই কম নয়। সেজন্যই সম্ভবত এর নাম তোতামাছ বা প্যারোট ফিশ হয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো, পুরুষ মাছ মারা গেলে যেকোনো একটি স্ত্রী-মাছ তার লিঙ্গ পরিবর্তন করে, রঙ পরিবর্তন করে এবং এটি প্রভাব বিস্তারকারী পুরুষে পরিণত হয়। তোতামাছের আরেকটি মজার বিষয় হলো, এরা নিজেদেরকে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখে। প্রতি রাতে এরা এদের মাথার একটি অংশ থেকে নিঃসৃত মিউকাস দিয়ে দেহকে আবৃত করে রাখে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এরা এভাবে এদের দেহের ঘ্রাণকে আড়াল করে রাখে, যাতে নিশাচর শিকারি প্রাণী আক্রমণ করতে না পারে। তোতামাছ এক থেকে চার ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এদের সুখাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। পলিনেশিয়ায় এদেরকে কাঁচা খাওয়া হয়। একসময় এ দেশে তোতামাছকে রাজকীয় খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। শুধু রাজাই খেতেন এ মাছ।
৯। অ্যাঞ্জেলফিশ
দক্ষিণ আমেরিকাকে এদের আদি বাসস্থান ভাবা হয়। এরা দৈর্ঘ্যে ১৫ – ২৬ সেমি এবং চওড়ায় ১১ – ১৫ সেমি পর্যন্ত হয়। পায়ুর কাছের পাখা বড় এবং খাড়া। গায়ে সাদা ও কালো রঙের ছোপ। বসবাসের উপযোগী জলের উত্তাপ কমপক্ষে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরা জীবন্ত খাবার বেশি পছন্দ করে, কিন্তু তৈরি খাবারও খায়। এরা শান্তিপ্রিয়,অন্য মাছের সঙ্গে এদের থাকতে কোনও অসুবিধা হয় না। তবে খুব ছোট মাছ বা মাছের বাচ্চা থাকলে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। এদের স্ত্রী মাছেরা ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর মাছগুলোকে আলাদা করে রাখাই ভালো। জলের গভীরতা ৪ – ৬ সেমি হওয়া দরকার। খাবার হিসাবে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম প্রাণীকণা বা জুপ্ল্যাঙ্কটন এদের পক্ষে বেশি উপযোগী।
৮। প্রজাপতি মাছ
নয়নাভিরাম সামুদ্রিক মাছের নাম প্রজাপতি মাছ। পৃথিবীর অধিকাংশ সামুদ্রিক এলাকায় এদের দেখা যায়। এরা সমুদ্র তলদেশের শৈলভূমিতে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। কখনও ঝাঁক বেঁধে, কখনও জোড়ায় জোড়ায়। এদের গায়ের রং এদের মূল সৌন্দর্য। তবে কোনো কোনো প্রজাপতি মাছের দেহের রং অনুজ্জ্বল হলেও অধিকাংশের দেহে রয়েছে উজ্জ্বল নীল, লাল, কমলা ও হলদে রঙের বিচিত্র নকশা। ছোট ছোট মাছগুলো ৫ থেকে ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়ে থাকে। দেহ চ্যাপ্টা ও পাতলা, অনেকটা চাকতির মতো। দিনের বেশির ভাগ সময় এরা প্রবালের মধ্যে ঘুরে-ফিরে কাটিয়ে দেয়। কোনো কোনো প্রজাপতি মাছ প্রবাল ছাড়া কিছুই খায় না। রাতে এরা অন্ধকার প্রবালের ফাঁকে লুকিয়ে থাকে। এ সময় এদের উজ্জ্বল রঙ আর বিচিত্র নকশা প্রবালের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।
৭। লিপস্টিক টাং
"লিপস্টিক টাং" নামে একটি মাছের প্রজাতির নাম রাখা সত্যিই একটা মজার ব্যাপার? এই অদ্ভুত প্রকৃতির মাছের ঠোঁটে নারীরা যেভাবে লিপস্টিক লাগায় ঠিক তেমন দেখায়। এজন্য এ মাছের নামকরণ করা হয়েছে লিপস্টিক টাং। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে পাওয়া এই মাছের ঠোঁট হয় হলুদ বা কমলা রঙের। এরা লম্বায় 45 সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এরা সাধারণত রাক্ষুসে টাইপের মাছ। । তাই এদের অন্যান্য মাছের সাথে রাখা হয় না, কারণ তারা এগুলি খেয়ে ফেলে।
৬। গাপ্পি মাছ
এরা ভেনেজুয়ালা, ব্রাজিল ইত্যাদি দেশের মাছ। এরা নানা জাতের হয়, বিচিত্র রঙেরও হয়। এদের আকতি-প্রকৃতিও নানা রকম। এদের চোখগুলো বড় বড়, ঠোঁট একটু উপরের দিকে ওঠা। পুরুষদের পাখাগুলো মেয়েদের পাখার চেয়ে বড়। পুরুষের রঙের বাহারও মেয়েদের চেয়ে বেশি। মেয়েরা আকারে বড় (২ – ৬ সেমি ) হয় ছেলেদের (১.৫ – ৩ সেমি ) তুলনায়। এরা সব রকম আবহাওয়ায় বাঁচে। জলাশয়ের উপরের স্তরেই মূলত ঘোরাফেরা করে। ২০ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই এদের বেশি পছন্দ। এরা সব রকম খাবারই খেয়ে থাকে।
৫। ম্যান্ডারিন ফিশ
ম্যান্ডারিন ফিশ একটি দুর্দান্ত চেহারার মাছ যা দেখে মনে হয় যেন পুরো শরীরে কোন চিত্রশিল্পী পেইন্টিং করেছে। রঙে খুব উজ্জ্বল, অ্যাকোরিয়াম ব্যবসায়ের জন্য বিক্রি হওয়া সবচেয়ে সুন্দর এক মাছ । ম্যান্ডারিন ফিশ মূলত উষ্ণ জলে বসবাস করতে ভালবাসে। এবং এই মাছ অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া এবং রিউক্যু দ্বীপপুঞ্জের প্রবাল প্রাচীরের নিকটে বাস করে এবং ধীর গতি সত্ত্বেও, এই মাছটিকে প্রকৃতিতে সনাক্ত করা কঠিন কারণ এটি প্রায়শই সমুদ্রের তলদেশের নীচে বসবাস করে থাকে।
৪। ক্লাউন ফিশ
অসাধারণ সুন্দর এই মাছের নামটি বড়ই অদ্ভুত, ক্লাউন ফিশ বা "জোকার মাছ"। ক্লাউন ফিশকে বিশ্বের সব থেকে সুন্দর মাছ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সৌন্দর্যের জন্য একে অনেকে একুরিয়ামে পালন করে থাকে। ক্লাউন ফিশের সারা দেহ কমলা, হলুদ এবং লালচে ও কালচে রঙের হয়। এছাড়াও এদের দেহে অনেক সাদা সাদা রেখা দেখা যায়। এরা লম্বায় ১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এরা ভারত মহাসাগর ও প্যাসিফিক মহাসাগরে বাস করে। কোন কারণে যদি একটি দল থেকে স্ত্রী মাছ মারা যায় বা হারিয়ে যায় বা অন্যত্র চলে যায় তাহলে তাঁর স্থানে চলে আসে লিঙ্গ পরিবর্তনকারী একটি পুরুষ মাছ। এক বারে একটি ক্লাউন ফিশ একশত থেকে একহাজারটি পর্যন্ত ডিম দেয়। পুরুষ ক্লাউন ফিশ ডিমগুলো পাহারা দেয়। ৬ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ক্লাউন ফিসের বংশগতির ধারা বজায় থাকে।
৩। বাংগাই কার্ডিনাল ফিশ
অ্যাকুরিয়ামে ব্যবসায়ের জন্য ব্যাঙ্গাই কার্ডিনালফিশকে সর্বাধিক বিখ্যাত বলে মনে করা হয়। দীর্ঘ, কোঁকড়ানো ডানা দিয়ে সজ্জিত এই ক্ষুদ্র ও অনন্য মাছটি কেবলমাত্র বিশ্বের এক জায়গায় তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল,শুধুমাত্র ইন্দোনেশিয়ার বাংগাই দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়। এই মাছগুলি খুব সুন্দর এবং বিরল, বাণিজ্যিক মাছের বাজারে এগুলির অত্যান্ত চাহিদা। কিন্তু এদের বংশবিস্তার কম হওয়ায় এবং নানাবিধ কারনে এই মাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
২। ফাইটিং ফিশ
এশিয়া মহাদেশের মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এদের স্বদেশ বলে মনে করা হয়। লম্বা, দুই পার্শ্বদেশ চ্যাপটা, পায়ুর পাখনা বেশ প্রশস্ত। পিঠের পাখনা বেশ লম্বা ও উঁচু। লেজের পাখনা গোলাকৃতি। এরা নানা রঙের হয়। পুরুষ মাছেরা বেশি রঙবাহারি হয়। পিঠের ও লেজের পাখনা পুরুষদের বড় হয়। এরা দৈর্ঘ্যে ৬ সেমি মতো হয়। ২৫ – ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপে সাধারণ জল এদের বসবাসের পক্ষে উপযোগী। জলাশয়ের নীচের দিকে শ্যাওলার মধ্যে থাকতে এরা বেশি পছন্দ করে। এরা মুখ্যত জুপ্ল্যাঙ্কটনই খায়। এদের একটা পুরুষ অন্য পুরুষ মাছের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন। স্ত্রী মাছেরা শান্ত, তারা অন্য জাতীয় বা সমগোত্রীয় মাছের প্রতি অশান্ত ভাবাপন্ন হয় না।
১। সিংহমাছ
সিংহমাছ মূলত বিষাক্ত সামুদ্রিক মাছ। পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত মাছদের মধ্যে অন্যতম এটি। কিন্তু বিষাক্ত হলে কী হবে, এর সৌন্দর্য দেখার মতো। এ যেন গোলাপের মতোই, সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে আছে কাঁটার বিষ। এর পাখনায় রয়েছে সুচের মতো তীক্ষ কাঁটা। এ কাঁটা দিয়ে এরা শত্রুর দেহে শক্তিশালী বিষ ছড়িয়ে দেয়। এ বিষের প্রভাবে এদের সাধারণ শত্রু প্রাণী মারা যায়। তবে এদের বিষের প্রভাবে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বিরল। এরা স্করপিয়ন, ড্রাগন ও টার্কি ফিশ নামেও পরিচিত। সিংহমাছের দেহে রয়েছে বিচিত্র ডোরা দাগ। এদের পাখনাগুলো পাখির পালকের মতো নরম। যখন এরা বিচিত্র রঙের পাখনাগুলো মেলে ধরে তখনই এদের আসল সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। এদের দেহের গড় দৈর্ঘ্য এক ফুট। তবে সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। গড় ওজন এক দশমিক দুই কেজি। অ্যাকুইরিয়ামে এ মাছ পালন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। এর বিষ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী না হলেও প্রচণ্ড ব্যথাদায়ক। এর বিষের প্রভাবে মানুষের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টসহ বিতৃষ্ণাভাব দেখা যায়। সিংহমাছ সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।
Casino Roll - How Does a Slots Game Have a Scatter RTP? The most common slot games we'll 카지노 톡 see in this section of the casinoroll blog 에밀리 벳 리 카즈 are Jackpot 소셜 카지노 City Megaways. These 잭팟 시티 slots are designed 부평바카라 for real money play, and are
Casino Roll - How Does a Slots Game Have a Scatter RTP?
উত্তরমুছুনThe most common slot games we'll 카지노 톡 see in this section of the casinoroll blog 에밀리 벳 리 카즈 are Jackpot 소셜 카지노 City Megaways. These 잭팟 시티 slots are designed 부평바카라 for real money play, and are