সৌদি আরবে নির্যাতিত এক নারীর করুণ ইতিহাস। আমি একজন পঁয়ত্রিশ বছর বয়সী নারী, তখনও বুঝতে পারেনি, কী হতে যাচ্ছে আমার সাথে। বিদেশের মাটিতে আসার পর ,দুই দিনের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটে। বাসায় কেউ নেই। সকালে গাড়িতে করে, অ্যারাবিয়ান পরিবারের সবাই, বেড়াতে গেছেন আত্মীয়দের বাসায়। এরমধ্যেই একটা জরুরি কাজে বাসায় ফিরেন বাড়ির মালিক। তিনি ব্যবসায়ী। বাসায় ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাকে ডাকেন নিজের রুমে। শরীর খারাপ লাগার অজুহাতে শরীর ম্যাসাজ করতে বলেন। পঞ্চাশ বছর বয়সী ব্যক্তি, বিছানায় কাত হয়ে আছেন। সুঠাম দেহে প্যান্ট ছাড়া কোনো বস্ত্র নেই। আমি লাজুক প্রকৃতির। লোকটি কী করবেন আমি বুঝতে পারছিলাম না। এরমধ্যেই আবার ডাকেন। শয়ন কক্ষে গিয়েও দাঁড়িয়ে থাকি আমি। এরমধ্যেই হাতটা ধরে টেনে পাশে বসিয়ে ম্যাসাজ করতে বলেন। অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমি ম্যাসাজ করতে থাকি।
তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটে যায় অঘটন। প্রথমে হাতটা জোর করে টেনে ধরেন। তারপর একটানে খাটে শুইয়ে দেই আমাকে। আমি তার কাছে অনুনয় বিনয় করি। আমি এরকম কিছুই করতে চাই না। আধো আধো আরবি ভাষা জানতাম। যা বিদেশে যাওয়ার আগে শিখেছিলেন। ওই ভাষাতেই অ্যারাবিয়ান পুরুষকে বুঝানোর চেষ্টা করি। স্বামী ছাড়া কারও সঙ্গে এমন সম্পর্ক করতে চাই না আমি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি। বাধা দিতে দিতে ক্লান্ত। অ্যারাবিয়ানের সঙ্গে হেরে যায়। সর্বস্ব লুটে নেয় আমার। আমি কান্না করতে থাকি। সৌদি আরবের রিয়াদে ঘটে ঘটনাটি।
কয়েক মাস নিরবে সহ্য করছিলাম এই অত্যাচার। বাসায় অন্য কেউ না থাকলে, আমাকে যৌন নির্যাতন করা হতো। দিন-দিন তা বাড়তে থাকে। এবার বিভিন্ন বন্ধুদের বাসায় ডেকে আনতেন। রাতভর পার্টি করতেন। সেই পার্টির আকর্ষণ করা হয় আমাকে। কখনও কখনও ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী, স্বেচ্ছায় অংশ নিতেন ওই পার্টিতে। নাচ, গানের আয়োজন থাকতো এতে। বিষয়টি জানতেন মালিকের বউ। তার কাছে প্রতিকার চেয়েছিলাম আমি। আমি হতভম্ব হয়ে যায়। ওই নারী তার স্বামীর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি জানার পর, উল্টো আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। চাকরি করতে হলে, পুরুষদের এই আচরণ মেনেই চলতে হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি।
সর্বশেষ যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরেছি গত বছর। দেশে মা-বাবাকে নির্যাতনের বিষয়টি জানানোর পর, সৌদি আরবস্থ দূতাবাসের সহযোগিতায় দেশে ফিরি আমি। আমার মতো যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে, অনেকেই দেশে ফিরেছেন শূন্যহাতে। আমার মত ভুল করে যেন কেউ আরবে না যায়। যতই বলুক ভালো কাজ দিবে। কিন্তু দিন শেষে আপনার সাথে ঐ কামই করবে।
ভিডিও টি আপনাদের সচেতন করার জন্য ইউটিউবে দেওয়া হল। একটা ভুল সিদ্ধান্ত আপনার জীবনটা তছনছ হয়ে যেতে পারে। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নিন নারী কর্মী হিসেবে আর বিদেশ নয়।
0 coment rios: