বাংলাদেশের কিছু মুসলমান লেখক ও সাহিত্যিক বিখ্যাত বনে যাওয়া সত্ত্বেও তারা স্বঘোষিত নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। আজকে আমি সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত ১৫ জন বাঙালী নাস্তিক কবি সাহিত্যিক সম্পর্কে আলোচনা করব তাদের নামধাম ও পরিচয় জানলে আপনারা অবাক না হয়ে পারবেন না। আপনি হয়তো কল্পনাই করতে পারবেন না যে, এত বড় মাপের কবি সাহিত্যিকরা নাস্তিক ছিলেন। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের চোখ বড় বড় হয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও হতে চলেছে। আপনাদের কাছে আকুল আবেদন করবো এই সকল কবি সাহিত্যিকের বই পড়া থেকে বিরত থাকবেন। তো চলুন জেনে নিই কারা সেই কবি সাহিত্যিক। ইসলাম বিরোধী কুখ্যাত ১৫ জন বাঙালি নাস্তিক কবি ও সাহিত্যিক।
১। বাউল লালন শাহঃ সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাঁজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাঁজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে না, হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।
২। আহমেদ শরীফঃ নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-“পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকার? নারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।” স্বঘোষিত নাস্তিক তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।
৩। আরজ আলী মাতব্বরঃ অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার নের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে।তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।
৪। হুমায়ুন আজাদঃ বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল ও কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা ও কবর দেয়া হয়েছে, সে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি।মাঝারী স্তন আমার পছন্দ, সরু মাংসল উরু আমার পছন্দ চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে।
৫। কবি শামসুর রহমানঃ শামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি- আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় নাউজুবিল্লাহ। এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশে? নাস্তিকটা জবাব দিয়েছিল-আমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।
৬। তসলিমা নাসরিনঃ তাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবে, তাদের স্তন সবাই দেখবে লেখক ইমদালুল হক মিলন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্র মুহম্মদ, সৈয়দ শামসুল হক, মিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও খেয়াল করলে দেখবেন তার যত ক্ষোভ, যত ঘৃণা সব কিছুই ঝাড়ে কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা তেমন চোখে পড়ে না।
৭। জাফর ইকবালঃ বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে পেট চালায়। জাফরের দাবী সে পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করে,কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য ৭১ সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন ও সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। জাফর নিজে আমেরিকায় চাকরী করতো, এখন সে তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকা পাঠিয়েছে পড়াশোনা করার জন্য।
৮। লেখক আনিসুল হকঃ সেক্যূলারপন্থী লেখক আনিসুল হক নাস্তিকপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে সে কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করে, বছরখানেক আগে তার ঐ লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক ভয় পেয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চায়। এরপর সে আরো কৌশলী হয়ে যায়, সরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন সে তার নাটক-সিনেমা ও পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
৯। সুলতানা কামালঃ জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে।কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।
১০। কবির চৌধুরী (গজবতুল্লাহ)ঃ চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল- তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে।সংবিধানে ’বিসমিল্লাহ’ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো। আজ সে মালিক ফিসিস্তার তত্ত্বাবধান আছে ।
১১। সৈয়দ শামসুল হকঃ এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। তার একটা কবিতা হল এরকম-যখন দু’স্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ আরেকটা কবিতা এরকম- শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমাআর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায় যাদের সাহিত্যের ভাষা এমন নোংরা তারা সেক্যুলার/নাস্তিক হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা যদি নিজেকে মুসলমান দাবী করতো তাহলে সেটাই বরং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হত।
১২। মুনতাসির মামুনঃ এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী । বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।
১৩। ফরহাদ মজহারঃ এই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক, বর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় না, বরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। {{সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।তওবা করেছে কিনা জানিনা }} নব্বইয়ের দশকে “এবাদত নামা” নামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি: বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি, বিসমিল্লাহ কহিব না, শুধু খাদিজার নাম নেবো। নবীজীর নাম? উহু, তার নামও নেবোনা মালিক শুধু খাদিজার নাম- দুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব তোমাকেও ভুলে যাবো, ভুলে যাবে নবীকে আমার।
১৪। শফিক রেহমানঃ বাংলাদেশে “ভ্যালেন্টাইন ডে” নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক “মৌচাকে ঢিল” নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।
১৫। কবি দাউদ হায়দারঃ বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর মাথাচাড়া দিয়ে জেগে উঠা স্বঘোষিত নাস্তিকদের অন্যতম সে। তার কবিতাগুলো অশ্লীলতা ও গালাগালীতে ঠাসা ।তার “জন্মই আমার আজন্ম পাপ”বইয়ের একটি কবিতার কয়েটি লাইন এমন–“শালা শুয়োরের বাচ্চা ….. কোথায় যাও হে…. আমরাই পাপীরে হারামজাদা…”। অন্য এক জায়গায় আলেমদের উদ্দেশ্য করে লিখেছে–“মাথায় টুপি, মুখে দাড়ি….. আননে কি রুপের বাহার…….এক্ষনি পশ্রাবে ভরে দেব মুখ”।
0 coment rios: