প্রিয় চাকরি প্রার্থী ভাই বোনেরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। চাকরির বয়সসীমা উন্মুক্ত নিয়ে আজকে কিছু আলোচনা করতে চাই। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। অনেকেই বলে ভিডিও ভিউ পাওয়ার জন্য ভিডিও বানায়। অনেক সময় বাজে কমেন্ট ও করে। একদিন চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করে প্রমাণ করে দিব। আমি নিজেও একজন ভুক্তভুগি আমার বয়স এখন ৩২ চলে। বর্তমানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি কিন্তু সরকারি চাকরি না পাওয়ার বেদনা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে।
চীনসহ আমাদের সার্কভুক্ত দেশ পাকিস্তান ছাড়া সকল দেশেই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। কিন্তু আমাদের দেশে সরকারী চাকরির বয়স ৩৫ বৃদ্ধিতে সরকারের বাধা কোথায়, কষ্ট কোথায়, ক্ষতি কোথায় সেটা আমার মাথায় আসেনা। অনেকে মনে করে চাকরিতে দেরি করে প্রবেশ করলে আবার নতুন করে অবসরে যাবার বয়সও বাড়াতে হবে।
কিন্তু আমরা স্পষ্ট করতে চাই, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হলেও চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। ছাত্রসমাজ চায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হোক। অনেকেই আবার ৩৭,৩৯,৪০,৪৫ এমনকি উন্মুক্ত করার মতামত প্রকাশ করছেন।
আমরা যে কথায় কথায় সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার উদাহরণ দেই তাদের দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪৫ বছর। সবচেয়ে ভালো হয় চাকরিতে বয়সের প্রবেশসীমা উন্মুক্ত রাখলে। তা না হলে অন্তত ৩৫ বছর করা হোক।
তবে আমি মনে করি চাকরিতে ঢোকার কোনো বয়সই থাকা উচিৎ নয়। ৫০ বছর বয়সে গিয়ে যদি কারো মনে হয় সে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হবে তাহলে রাষ্ট্র কেন বাধা হয়ে দাঁড়াবে? অবসরের বয়স থাকবে, কিন্তু সেনাবাহিনী, পুলিশ -এরকম বিশেষ কিছু ক্ষেত্র বাদে চাকরিতে ঢোকার কোনো বয়স থাকবে না। বিশেষ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় শিক্ষক হবার বয়স সীমা উন্মুক্ত রাখার কথা ভাবা যেতেই পারে। আপনার মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানান আপনি মূলত সরকারি চাকরির বয়সসীমা কত চান।
0 coment rios: