সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ |
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আজ শনিবার শাহবাগের রাজু ভাস্কর্যের সামনে সফলভাবে আন্দোলনে করেছেন চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রছাত্রীরা। আজ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে আন্দোলনকারীরা অনতিবিলম্বে সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান করেছেন । আজ বেলা ২টায় এ সমাবেশ শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। দাবি মেনে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত প্রজ্ঞাপন দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেছেন। আজকের এই আন্দোলনে অনেক ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল। জানা গেছে, ফেসবুককেন্দ্রীক বিভিন্ন চাকরির গ্রুপে এ বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে আন্দোলনকে আরও বশি বেগবান করতে খুব শীঘ্রই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এজন্য সকল ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে এবং আরও বেশি ফোকাসে নিয়ে আসতে আমাদের ভিডিও টি দয়া করে শেয়ার করে দিন। আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশেই থাকুন। তাহলে আমরা খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করতে সক্ষম হবো। আর আপনার মন্তব্য অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান। যাতে করে আমরা আরও শক্ত হাতে মাঠে নামতে পারি।
এছাড়াও ফেসবুকে কয়েকটি পেজ এবং গ্রুপ খোলা হয়েছে। সেখানে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়ে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আশা করি আমরা খুব শীঘ্রই ৩৫ করতে পারবো।
চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেও সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার মানেননি বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুক্তি খাড়া করেছে এছাড়াও শক্ত হাতে পুলিশ দিয়ে দমন করেছে। তারা বয়স না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সবসময় অনড় ও অটল ছিলেন। ফলে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এ বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে এবার তাদের যৌক্তিক দাবি মানা হবে বলে আশা তাদের।
তাদের ভাষ্য মতে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সফল করে সরকারের পতন ঘটিয়েছে ছাত্র-জনতা। তেমনি চাকরিতে বয়স বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে ছাত্র-জনতা সমর্থিক অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকায় তাদের মনে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে এবং তারা প্রত্যাশা করে তাদের দাবি এবার খুব শীঘ্রই মেনে নেওয়া হবে।
এছাড়াও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রী ডঃ আসিফ নজরুল, ক্রীড়া মন্ত্রী আসিফ এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী নাহিদ চাকরীর বয়স ৩৫ দাবির সমর্থন করেন। আজকের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ ইউনুস চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়টি মাথায় নিয়েছে। তিনিও চাকুরির বয়স ৩৫ করার সমর্থন করতেন। তবে এবার সময়ের ব্যাপার কিন্তু আন্দোলন থামিয়ে দিলে চলবে না। কেননা চাকরির বয়স ৩৫ না হওয়ার পেছনে অনেকেই বিরোধিতা করেন। এবার আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের মনোযোগ আকর্ষণ করে দ্রুত দাবির বাস্তবায়ন চাই ৩৫ প্রত্যাশি চাকরি প্রার্থীরা। আপনার অভিমতও দয়া করে শেয়ার করে যাবেন। আর সাবক্রাইব করে পাশেই থাকুন। আর যখন আপনাদের ডাক দেওয়া হবে তখনই মাঠে নেমে পড়বেন। আল্লাহ্ ভরশা এবার আমরা খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ বৃদ্ধি খুব দ্রুত করবো ইনশাল্লাহ।
0 coment rios: