সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সরকারি চাকরির ৩৫ বৃদ্ধির লিখিত স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা।

সরকারি চাকরির ৩৫ বৃদ্ধির লিখিত স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা।

প্রিয় সরকারি চাকরি প্রার্থী ভাই বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি নিয়ে আমি বেশ কিছু ভিডিও দিয়েছি। অনেকেই আমার ভিডিও দেখে বিশ্বাস করতে চাই না। কেউ কেউ বলে আমাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিবেন না আবার অনেকেই বলে ভিডিও তে ভিউ পাওয়ার জন্য ভিডিও আপলোড দেই।  

তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যারা বিশ্বাস করেন না সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি হবে তারা এই ভিডিও টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন। আর যারা বিশ্বাস করেন তারা তো দেখবেনই। 

গতকাল সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি ৩৫ এবং শর্তসাপেক্ষে উন্মুক্ত করার জন্য একটি দল লিখিত স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টা বরাবর জমা দিয়েছে। এই লিখিত স্মারকলিপির কপিটি অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ আসিফ নজরুল স্যারের হাতে সরাসরি জমা দিয়েছে।

 সাবেক স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় ডঃ আসিফ নজরুল সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ বৃদ্ধিতে ছাত্র আন্দোলনের সাথে সমর্থন করেছিলেন এবং বয়স বৃদ্ধির ব্যাপারে তিনি কথা বলেছিলেন। 

এই স্মারকলিপিতে সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধির জন্য যে সকল যুক্তি উপস্থাপনা করা হয়েছে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি।   

১৯৯১ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরির বয়সসীমা ২৭ বছর পর্যন্ত ছিল। ১৯৯১ সালে সর্বপ্রথম সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়। তখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই ৩৩ বছরে এখনও সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয় নি। কিন্তু বর্তমানে মানুষের গড় আয়ু ৭২.৩  বছর। কাজেই গড় আয়ুর বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরির বয়স বৃদ্ধি করা অধিক যুক্তিযুক্ত। এছাড়াও বিগত ৩৩ বছরে সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধির ব্যাপারে কোন কাজ করা হয়নি।  

এছাড়াও স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় ২০১১ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরির অবসরের বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর। কিন্তু ২০১১ সালে ৫৯ বছরে উন্নীত করা হয়। তখন যুক্তি দেখানো হয় গড় আয়ু বৃদ্ধির জন্য অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাহলে গড় আয়ু বৃদ্ধির জন্য যদি অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা যায় তাহলে চাকরিতে প্রবেশের বয়দসসীমা কেন ৩৫ বৃদ্ধি করা যাবে না?  

এছাড়াও করোনার সময়  ২-৩ বছর নষ্ট হয়েছে যার ফলে অনেক ছাত্রছাত্রী এর ফল এখনও ভোগ করছে।  আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী  ১২০ টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছরের উপরে। কোন কোন দেশে ৪০,৪৫,৫৫ এবং উন্মুক্তও রয়েছে।  এছাড়াও নানা যুক্তিও দেখানো হয়েছে এই স্মারকলিপিতে। আশা করি এবার চাকরির বয়স ৩৫ বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকারের অনীহা থাকার কথা না। ইনশাল্লাহ এবার সরকারি চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি হবেই হবে। 

আপনারা কমেন্ট করে জানাতে পারেন সরকারি চাকরির বয়স বৃদ্ধি ৩৫-৪০ নাকি উন্মুক্ত চান।কারণ এখন সময় এসেছে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা। দাবি যদি না মানে তাহলে নতুন কর্মসূচি এলে আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করার জন্য সবাইকে জোর অনুরোধ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। "আল্লাহ্‌ হাফেজ" 

শেয়ার করুন

Author:

আমি একজন অতি সামান্য মানুষ। পেশায় একজন লেখক,ব্লগার এবং ইউটিউবার। লেখালেখি করতে খুব ভালো লাগে। আমার এই সামান্য প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের কিছু শেখাতে পারা ও বিনোদন দেওয়ার মাধ্যমে আনন্দ খুঁজে পায়।

0 coment rios: