বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাবের বিরোধিতা করে তা বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ১৮ ও ১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন চাকরি প্রত্যাশীরা। ঢাকার নিউ ইস্কাটন রোডে অবস্থিত এনটিআরসিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে ১৮-১৯ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়াও ১৮ ও ১৯ তমরা ৯ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি এনটিআরসিএ এর কর্মকর্তাদের হাতে জমা দিয়েছে। আজকের ভিডিও তে সেই ৯ দফা গুলোও তুলে ধরা হবে। কাজেই ভিডিও টেনে টেনে না দেখে সম্পূর্ণ দেখবেন।
এনটিআরসিএ সাম্প্রতিক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে এমন খবর শোনার পর ১৮ ও ১৯ তম নিবন্ধন ফলাফল ও চাকরি প্রত্যাশীরা প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা গতকাল সকালে এনটিয়ারসিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এর সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এনটিআরসিএ সাম্প্রতিক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে এমন খবর শোনার পর ১৮ ও ১৯ তম নিবন্ধন ফলাফল ও চাকরি প্রত্যাশীরা প্রচন্ড ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা গতকাল সকালে এনটিয়ারসিএর প্রধান কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এর সাথে সাক্ষাত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
পরে তারা এনটিআরসিএর কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্তৃপক্ষ এর কাছে তাদের স্মারকলিপি জমা দেয়। এর পর তারা সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার সচিবের কাছে গিয়েও তাদের স্মারকলিপি জমা দেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকলিমা জানান, ❝আমরা এনটিআরসিএ এর বিশেষ বিজ্ঞপ্তির কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেছি। যেখানে ছাত্র জনতা মেধার জন্য লড়াই করে। সেখানে একটি পক্ষ অটো পাশের মত নিয়োগ চায় যা কোটার চেয়েও মারাত্মক। আমরা এনটিআরসিএর এমন সিদ্ধান্ত এর কঠিন নিন্দা জানাই।❞
আর একজন ফলাফল প্রত্যাশি মামুন মোড়ল বলেন, আমরা আগে ১৮ তম নিবন্ধন পরিক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে আমাদের নিয়োগ চাই। যেখানে ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেছে সেখানে এ নিবন্ধনের ফলাফল প্রকাশের আগে আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বৈষম্যমূলক। অনতিবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বন্ধ করতে হবে। নতুবা আমরা এর জন্য দুর্বার আন্দোলন শুরু করব আমরা কোনভাবেই বসে থাকবো না।
আরেক চাকরি প্রত্যাশী ইমরান নাজির বলেন, ❝বিশেষ কোনো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে যদি নিয়োগ দিতেই হয়, তবে তা বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করে সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। নতুবা, ১৮তম থেকেই সকল নিয়োগ দিতে হবে। কেননা ১৮তম তে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এর মধ্যে কমপক্ষে ১ লাখ অনায়াসেই নিয়োগ দেওয়া যেতেই পারে। ❞
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পন জানান, ❝আমরা আজকে শান্তিপূর্নভাবে এখানে অবস্থান করছি।ইনশআল্লাহ আগামী দিনগুলোতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আমাদের দাবি গুলো জানাতে চাই।
৯ দফা গুলো তুলে ধরা হলোঃ
- ১৮তম চূড়ান্ত রেজাল্টের আগে কোন “বিশেষ বিজ্ঞপ্তি” নয়।
- ১৮তম পরীক্ষার্থীদের লিখিত রেজাল্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিয়ে অক্টোবরে ভাইভা সম্পন্ন করে দ্রুত চূড়ান্ত রেজাল্ট প্রকাশ করে আমাদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
- শিক্ষক সংকট দূরীকরণে ১৮তম দের অগ্রাধীকার দিতে হবে।
- ৬০ (ষাট) হাজার জাল সনদধারীদের নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
- এনটিআরসিএর পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
- ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮তম দের নিয়ে ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
- অটো এমপিও চালু করতে হবে।
- ১ থেকে ১২ তমদের জন্য আদালতের রায় বহাল থাকবে।
- বৈষম্য মূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে।
0 coment rios: