ডেনমার্কে আসার আগে আপনাদের সকলের এই সত্যগুলো জানলে, হয়তো আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আরও অনেক সহজ হবে।
যারা ডেনমার্কে পড়তে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যারা ইউনিভার্সিটির কনফার্মেশন হাতে পেয়ে স্বপ্ন দেখছেন নতুন জীবনের, আর যারা ভাবছেন পরিবার নিয়ে আসবেন, নতুন করে শুরু করবেন সবকিছু। তাদেরকে বলবো ভাই জানেরা এই আর্টিকেলটি একটু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।এই পোস্টটা আপনার চোখ খুলে দিতে পারে সাথে অনেক কিছু জানতে পারবেন। ডেনমার্কে আসা মানেই ইউরোপ ঘোরাঘুরি করা না। হ্যাঁ, এই দেশে শান্তি আছে, সিস্টেম আছে, সুযোগ আছে কিন্তু সেই সুযোগ অর্জন করে নিতে হয় কষ্ট দিয়ে, ঘাম দিয়ে, আত্মসম্মান দিয়ে, আর অনেক সময় একাকীত্ব দিয়ে।
ডেনমার্কে বাসা খোঁজা রীতিমতো যুদ্ধ। প্রতিটি রুমের জন্য ২০-৩০ জনের লাইন। ভালো বাসা পেতে হলে নেটওয়ার্ক লাগে, আর স্ক্যাম থেকে বাঁচতে হলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। বাসা পেলে CPR নাই, CPR পেলে চাকরী নাই... এইগুলা এখানে এখন অতি সাধারণ ব্যাপার!
ডেনমার্কে চাকরি?
অদ্ভুত, শারীরিক কষ্টকর কাজ যা আপনি বাংলাদেশে কখনও কল্পনাও করেননি। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, খাবার পরিবেশন, ক্লিনিং, ডিশ ধোয়া, শুরুর দিকে কাজ মানে কেবল টিকে থাকার লড়াই। তারপর কেউ একটা জব আছে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলে ১৫০+ Interested কমেন্ট আসে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে কান্নাকাটি করেও স্ট্যাটাস দেন যেগুলা থেকে জব ক্রাইসিসের ধারণা নিতে পারেন।
অদ্ভুত, শারীরিক কষ্টকর কাজ যা আপনি বাংলাদেশে কখনও কল্পনাও করেননি। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, খাবার পরিবেশন, ক্লিনিং, ডিশ ধোয়া, শুরুর দিকে কাজ মানে কেবল টিকে থাকার লড়াই। তারপর কেউ একটা জব আছে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলে ১৫০+ Interested কমেন্ট আসে। অনেকে নিঃস্ব হয়ে কান্নাকাটি করেও স্ট্যাটাস দেন যেগুলা থেকে জব ক্রাইসিসের ধারণা নিতে পারেন।
অনেকই পরিবার নিয়ে আসতে চাই…”
একটু থামেন। আরেকটু ভাবেন। বাসা, স্কুল, খরচ, মানসিক চাপ এইগুলো সামলাতে পারবেন তো? অনেকেই এসে ফিরে গেছেন, কারণ এখানে কেউ কারও জন্য দাঁড়ায় না। বাচ্চা কাঁদে, আপনার ওভারটাইম করতে হয়, দাম্পত্যে টান পড়ে, জীবন যেন অসহায়ের মত হয়ে যায়।
এই দেশ কারো প্রেমে পড়ে না, কাজের প্রেমে পড়ে। আপনি কাজ দিলে, কষ্ট সহ্য করলে, নিয়ম মেনে চললে তবে ধীরে ধীরে আপনাকে জায়গা করে দেয়। এখানে “ভাই, আমাকে একটু হেল্প করেন” এই কথা কাজ করে না। সবকিছু কাগজে, সিস্টেমে। একটা CPR নাম্বার না পেলে আপনি কাউন্টই হন না। পেপার ওয়ার্ক ভুল হলে এক সপ্তাহ ঘুরে বেড়ান কেউ সাহায্য করবে না, সবাই ব্যস্ত।
তাহলে কি না আসাই ভালো? না ভাই, আসেন। অবশ্যই আসেন, কিন্তু চোখ খোলা রেখে আসেন।
এমনভাবে আসেন যাতে “তিন মাস পরে টাকা শেষ, কাজ নাই, বাসা নাই” এই কথাগুলো যেন বলতে না হয়। এমনভাবে আসেন যাতে দেশে থাকা মা-বাবা ফোন দিলেই কান্না চেপে বলতে না হয়,
“ভালো আছি মা, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে”
এমনভাবে আসেন যাতে “তিন মাস পরে টাকা শেষ, কাজ নাই, বাসা নাই” এই কথাগুলো যেন বলতে না হয়। এমনভাবে আসেন যাতে দেশে থাকা মা-বাবা ফোন দিলেই কান্না চেপে বলতে না হয়,
“ভালো আছি মা, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে”
যা করবেন:
- সিনিয়রদের সাথে পরামর্শ করবেন । ইউটিউবের চমকদার ভিডিও দিয়ে না।
- প্রথমে একা আসেন, বুঝে-শুনে তারপর পরিবার আনেন।
- মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন “যা করতেই হোক, আমি করবো” এই মাইন্ডসেট নিয়ে আসেন।
শেষ কথা:
ইউরোপে আসা মানে উন্নত জীবন না, এটা নতুন এক যুদ্ধ—যেখানে প্রতিদিন নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। যদি আপনি যুদ্ধ করতে রাজি থাকেন, তাহলে আসুন। আর যদি শুধু আরাম খুঁজতে আসেন, তাহলে ভাই, বাংলাদেশেই শান্তি খুঁজে নেন।
ইউরোপে আসা মানে উন্নত জীবন না, এটা নতুন এক যুদ্ধ—যেখানে প্রতিদিন নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। যদি আপনি যুদ্ধ করতে রাজি থাকেন, তাহলে আসুন। আর যদি শুধু আরাম খুঁজতে আসেন, তাহলে ভাই, বাংলাদেশেই শান্তি খুঁজে নেন।
0 coment rios: